ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বরগুনায় জোয়ারের পানিতে অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত

দোলন মিত্র || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১০, ৩১ আগস্ট ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বরগুনায় জোয়ারের পানিতে অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত

অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত বরগুনার নিম্নাঞ্চল

বরগুনা প্রতিনিধি : অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে সমুদ্র উপকূলীয় বরগুনা জেলার প্রায় অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বর্তমানে জেলার বিষখালী নদীর পানি বিপদসীমার ৩১ সে.মি. ওপর দিয়ে বইছে। এছাড়া বুড়িশ্বর ও বলেশ্বরেও জোয়ারের পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

সোমবার বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, জেলায় বেলা ১টা পর্যন্ত জোয়ারের মোট উচ্চতা ছিল ৩ দশমিক ১৬ মিটার; যা বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পানির অস্বাভাবিক চাপে বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের, ডেমা গুলিশাখালী, মাঝেরচর, পাতাকাটা, এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের, ছোট বালিয়াতলী, পালের বালিয়াতলী, নলটোনা ইউনিয়নের পদ্মা, সোনাতলা, আমতলা ও নিশানবাড়িয়া, ঢলুয়া ইউনিয়নের ডালভাঙা, লতাবাড়িয়া, গোলবুনিয়া, মাঝখালী, উত্তর ডালভাঙা, দক্ষিণ ডালভাঙা গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

 

পাথরঘাটায় ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে বলেশ্বর নদীর পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে চরদোয়ানি, কাঁঠালতলী, জ্ঞানপাড়া, পদ্মা, রুহিতা, জ্বিনতলা, বাদুরতলা, কোরালিয়া, নিজ লাঠিমারা, ছোট টেংরা, গাববাড়িয়া এলাকা।

 

বেতাগী উপজেলার বিষখালী নদীসংলগ্ন উত্তর বেতাগী, ঝিলবুনিয়া, ছোপখালী, ঝোপখালী, ভোলানাথপুর, জগাইখালী, কালিকাবাড়ি, গাবতলী, আলিয়াবাদ, জোয়ার করুনা, গ্রোমর্দন ভাসছে জোয়ারের পানিতে। এছাড়াও ঝুঁকিতে রয়েছে বেতাগী শহর রক্ষাবাঁধ।

 

বৃুড়িশ্বর নদীর জোয়ারের পানিতে আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে বৈঠাকাটা, ঘটখালী, বেতমোর, চন্দ্রা, উত্তর কান্দা ও বালিয়াতলী। সেই সঙ্গে পৌরসভার আমুয়ার চরসহ ঝুঁকিতে রয়েছে আমতলী শহর রক্ষাবাঁধ।

 

এছাড়াও বেড়িবাঁধের বাইরে পায়রা নদীসংলগ্ন তালতলী উপজেলার নিম্নাঞ্চলের খোট্টার চর, নলবুনিয়ার চর, আশার চর, তেঁতুলবাড়িয়ার চর ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকায় বেড়িবাঁধ না থাকায় দিনেরাতে দুবার বুক সমান পানিতে ভাসছে দুর্গত সেসব গ্রামের নারী, শিশু ও গবাদিপশুসহ হাজার হাজার মানুষ।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শহিদুল ইসলাম জানান, মূলত স্বাভাবিক জোয়ারে বরগুনার বিভিন্ন নদ-নদীতে ২ দশমিক ৮৫ মিটারের নিচে দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। কিন্তু সোমবার জোয়ারের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এটা মূলত পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাব বলে তিনি জানান। আরো দু-একদিন এভাবে পানি বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও তিনি জানান।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/বরগুনা/৩১ আগস্ট ২০১৫/দোলন মিত্র/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়