ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

কুষ্টিয়ায় ট্রিপল মার্ডার: ৩ আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৭, ১০ মে ২০২২  
কুষ্টিয়ায় ট্রিপল মার্ডার: ৩ আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড 

প্রায় ১৩ বছর আগের কুষ্টিয়ার আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলায় তিন আসামির আমৃত্যু এবং আট আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। 

মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম আসামিদের অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলা থেকে ১১ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত সকলে নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন চরমপন্থি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন।  

মামলার আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পুতলাডাঙ্গা গ্রামের ফারুক সদ্দার, সদর উপজেলার পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের কালু ওরফে কফিল উদ্দিন ও শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার রোহান।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের ফারুক মন্ডল, ভায়না গ্রামের লিয়াকত আলী, সদর উপজেলার করিমপুর গ্রামের লিয়াকত শেখ, মনোয়ার শেখ, আকাম উদ্দিন, জমির উদ্দিন, ইবি থানার খোর্দ্দবাখইল গ্রামের নুরাল ওরফে নুরুল, সদর উপজেলার মাঝপাড়া গ্রামের খাকচার মন্ডল।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী জানান, ২০০৯ সালের ১০ আগস্ট সকালে কুষ্টিয়া শহরের ডিসি কোট সংলগ্ন গণপূর্ত অফিসের প্রাচীরের সঙ্গে চটের ব্যাগের মধ্য স্থানীয় শামসুজ্জোহা, কাইয়ুম ও আইয়ুবের বিচ্ছিন্ন মাথা পাওয়া যায়। পরদিন সদর উপজেলার সোনাডাঙ্গা গ্রামের মাঠের মধ্যে পাওয়া যায় তাদের দেহ। এ ঘটনায় নিহত কাইয়ুমের ভাই আব্দুল হাই বাদী হয়ে ১০ আগস্ট কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। 

তিনি আরও জানান, এলজিইডির ১৮ কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নিতে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য তাদের হত্যা করা হয়। যাদের খুন করা হয়েছে তারা এবং আসামিরা সবাই জাসদ গণবাহিনীর দুটি দলের সদস্য ছিলেন। 

কাঞ্চন/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ