বিএসএমএমইউতে স্বাচিপ নেতাকর্মী ও পুলিশের সতর্ক অবস্থান

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের বিদায় আগামীকাল। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে দায়িত্ব নেবেন নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক। বিদায়ের একদিন আগে আজ সকাল থেকে নিজ চেম্বারে দেখা যায়নি অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদকে।

বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদের যেকোনো ‘অপতৎপরতা রুখতে’ টিএসসিতে অবস্থান নিয়েছে বিএসএমএমইউর স্বাচিপ নেতাকর্মীরা। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপস্থিত রয়েছে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। সবমিলিয়ে বিএসএমএমইউর প্রশাসনিক ভবনজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এই চিত্র দেখা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ সকাল ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি ক্যাম্পাস ছাড়েন। বেলা ১২টা পর্যন্ত তিনি আর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে সবসময় চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীতে সরগরম থাকলেও আজ শুনশান নিরবতা বিরাজ করছে। অধিকাংশ রুমেই চেয়ারগুলোতে পাওয়া যায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপাচার্যের শেষ কর্মদিবসে বিভিন্ন জটিলতায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সবার মধ্যেই একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে সকাল থেকেই অবস্থান নিয়েছে বিএসএমএমইউ শাখা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ দিনে উপাচার্যের যেকোনো অপতৎপরতা রুখতেই তাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান। তবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি যাতে না হয়, সে ব্যাপারে তারা সতর্ক রয়েছেন বলেও জানান।

বিএসএমএমইউ স্বাচিপের সদস্য সচিব অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম টিটো বলেন, উপাচার্য যদি শেষ সময়ে রুটিন কাজগুলোই করেন, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যদি সিন্ডিকেট মিটিং বা নিয়োগের অপতৎপরতা চালান, তাহলে আমরা সেটা করতে দেবো ননা। তখন আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, দুঃখজনক ব্যাপার হলো উপাচার্য বিদায়ের শেষ দিনটা ভালোভাবে কাটাতে পারলেন না। তিনি একরকম পুলিশি প্রটেকশন নিয় বিএসএমএমইউ ছাড়ছেন-যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম ঘটলো। এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা কারোরই কাম্য নয়।

এসব প্রসঙ্গে উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না বলে জানিয়েছেন।