ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

শামসিয়া হাসানি: রং-তুলিই যার প্রতিরোধের কালাশনিকভ

অদিতি ফাল্গুনী  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২৫, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ১১:৪২, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
শামসিয়া হাসানি: রং-তুলিই যার প্রতিরোধের কালাশনিকভ

নিজের আঁকা দেয়ালচিত্রের সামনে শামসিয়া হাসানি

সাহিত্য-বিজ্ঞান-গণিত-স্থাপত্য-মহাকাশ বিদ্যার মতো চিত্রকলাও শেষ পর্যন্ত পুরুষেরই করায়ত্ত্ব পৃথিবী। ভ্যান গঘের ইম্প্রেশনিজম, মার্ক শাগালের ফভিজম বা পিকাসোর কিউবিজম নিয়ে পড়তে হয় চিত্রকলার শিক্ষার্থীদের। নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ সেখানে কতটুকু? অধিকাংশ সময় সে বড়-জোর পুরুষ শিল্পীদের মডেল বা প্রেমিকা।

অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে পৃথিবীতে নারী চিত্রশিল্পীদের চিত্রশিল্পে সক্রিয় অংশগ্রহণের হার বেড়েছে। আর এরই ভেতরে একদম হালে বিশ্বের দৃষ্টি কেড়ে নিয়েছেন মেয়েদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত আফগানিস্তানের নারী গ্রাফিতি শিল্পী শামসিয়া হাসানি। গেল আগস্টে কাবুলে তালেবান শক্তির ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তান হয়ে উঠেছে বাস্তবিক অর্থেই নারী, কবি-লেখক-শিল্পী বা সংখ্যালঘুদের জন্য অন্ধকার প্রেতপুরী। কিন্তু সেই ধ্বংস ও নৈরাজ্যের কাবুলেই সর্বশেষ তালেবান দখলের বেশ কিছু দিন আগে থেকেই নগরীর দেয়ালে দেয়ালে বাদ্যযন্ত্র হাতে মেয়েদের ছবি এঁকে, রং ও রেখার অনন্য সমন্বয়ে কট্টর আফগান পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে তিনি দিচ্ছিলেন নান্দনিক রং ও রেখার বার্তা। কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপিকা, ৩৩ বছর বয়সী শামসিয়া হাসানির গ্রাফিতি বা দেয়াল চিত্র তালেবান বিজয়ের পর আরো বেশি করে পৃথিবীর মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

কে এই শামসিয়া হাসানি?

এই শিল্পীর প্রকৃত নাম ওম্মোলবানিন হাসানি। জন্ম ইরানে (১৯৮৮)। এ সময় আফগানিস্তানে যুদ্ধাবস্থা চলছিল বলে তাঁর বাবা-মা কিছুদিনের জন্য কান্দাহার থেকে ইরানে গিয়ে আশ্রয় নেন। শামসিয়ার শৈশব কেটেছে ইরাণে। শৈশব থেকেই ছবি আঁকায় আগ্রহী হাসানি নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় ইরানের স্কুলে চিত্রকলা ক্লাসে ভর্তি হবার অনুমতি পাননি। ইরানে আফগানদের জন্য চিত্রকলা ক্লাসে ভর্তি হওয়ার কোনো অনুমতি ছিল না। ২০০৫ সালে কাবুলে ফেরার পর অবশ্য সেই শখ শামসিয়া পূরণ করেন। কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রকলায় বিএ এবং পরে ভিস্যুয়াল আর্টসে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন তিনি। পড়া শেষে কাবুল ভার্সিটিতেই প্রথমে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেবার পর ধীরে ধীরে সহকারী অধ্যাপক হন। তবে, শুধু চিত্রকলার শিক্ষকতা করেই তিনি ক্ষান্ত হননি। মানুষকে যুদ্ধের নেতিবাচক দিক বোঝাতে কাবুলের দেয়ালে শুরু করেন আফগান নারীর প্রতিদিনের জীবন সংগ্রাম নিয়ে বর্ণিল নানা চিত্রাঙ্কনের কাজ।

শামসিয়া প্রথম গ্রাফিতি শেখেন ২০১০ সালের ডিসেম্বরে কাবুলে একটি ‘গ্রাফিতি বিষয়ক কর্মশালা‘ থেকে। কর্মশালা সঞ্চালনা করেছিলেন যুক্তরাজ্যের গ্রাফিতি শিল্পী চু। তারপরই তিনি দেয়াল চিত্র আঁকায় মনোযোগী হন। এ ছাড়া গ্রাফিতি আঁকায় খরচও কম। কাবুলের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সামনে একটি সিঁড়ির নিচে বসা এক বোরখাচ্ছাদিতার ছবিটি শামসিয়ার শক্তিশালী ছবিগুলোর একটি। ছবিটির নিচে লেখা, ‘মৃত নদীতে আবার প্রবাহ ফিরতে পারে, কিন্তু যদি মাছই মারা যায়?’ 

শামসিয়ার নিজের ভাষায়, ‘ছবির শক্তি শব্দের চেয়েও বেশি এবং লড়াই করার এটা একটি মৈত্রীপূর্ণ পন্থা।’ এটা যুদ্ধোত্তর আফগানিস্তানের পুনর্গঠনের সময় আফগান নারীর ইতোমধ্যে সমাজে অবনমিত অবস্থা বোঝাতে আঁকা হয়েছিল। এই শিল্পী মূলত নারী অধিকার আদায়ের আন্দোলন গড়ে তুলতেই তাঁর ছবি ব্যবহার করেন। জনসমক্ষে হয়রানি এড়াতে দশকের পর দশক আফগান নারী যে ভয়াবহ বৈষম্য এবং অত্যাচার সহ্য করছে সেসব সম্পর্কে মানুষকে তিনি মনে করিয়ে দিতে চান। আবার কাবুলের মতো কট্টর পুরুষতান্ত্রিক শহরে নারী হয়ে গ্রাফিতি আঁকতে গিয়ে প্রচুর হয়রানি সহ্য করেছেন তিনি। যে কারণে তিনি সাধারণত ১৫ মিনিটের ভেতর ছবি আঁকা শেষ করেন।

আগস্ট ২০২১-এ তালেবানদের হাতে কাবুল পুনর্দখলের আগে থেকেই শামসিয়ার চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়েছে ভারত, জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, ভিয়েতনাম, নরওয়ে, ডেনমার্ক, তুরস্ক, ইতালি, কানাডা থেকে কাবুলের নানা বিদেশী দূতাবাসে। ২০১৪ সালে ফরেন পলিসি (এফপি) তাঁকে পৃথিবীর ‘শ্রেষ্ঠ ১০০ চিন্তাবিদের একজন‘ হিসেবে ঘোষণা করে। ২০১৩ সালেই ‘আর্ট রাডার‘-কে শামসিয়া জানান, ‘কাবুলের দেয়ালগুলোতে রং দিয়ে আমি যুদ্ধের মন্দ স্মৃতি ভুলিয়ে দিতে চাই। আমি আফগানিস্তানকে যুদ্ধ নয়, বরং শিল্পের জন্য বিখ্যাত করে তুলতে চাই।‘ 

শামসিয়ার ছবিতে বোরকাবৃতা নারী 

কেন তালেবান পুনর্দখলের আগে যখন আফগানিস্তানে সব কিছু নতুন ভাবে শুরু হয়েছিল, সে সময়েও কেন তিনি এত বোরকাবৃতা নারী এঁকেছেন, সে প্রশ্নের জবাবে হাসানী বলেন, ‘যদিও অনেকেই আফগানিস্তানে নারীর ট্র্যাজেডি ভুলে গেছেন, তবু আমি তাদের আমার ছবির মাধ্যমে স্মরণ করাতে চাই যে আসলে আফগান নারীর সঙ্গে কী করা হয়েছে। সেজন্যই আজ সমাজের সর্বত্র এত বেশি বোরকাচ্ছাদিতা নারী আমার ছবিতে আসে।‘

যেসব রূপকল্প বারবার আসে শামসিয়া হাসানির ছবিতে

উপরের ছবিটি আফগানিস্তানের একটি হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে যেখানে গত বছরের মে মাসে তালেবান বোমা ফেলেছিল। এই ছবিতে বোমাধ্বস্ত একটি হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে গর্ভস্থ ভ্রুণে আঙুল রেখে কাঁদছেন এক আসন্ন প্রসূতি মা। নোয়াম চমস্কি থেকে জিজেকের মতো বড় বড় সব বাম বুদ্ধিজীবী যখন পাণ্ডিত্যের বহর বোঝাতে তালেবানদের পক্ষে কলাম লিখছেন, একজন নারী হিসেবে শামসিয়া তখন দাঁড়াচ্ছেন অন্য নারীদের পাশে।

তালেবান পুনদর্খলের পর কেমন আছেন শামসিয়া ও তাঁর ছবি? 

তালেবান পুনর্দখলের পর সঙ্গত কারণেই আফগান নারীদের উপর সহিংসতা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। তবু থামেনি শামসিয়ার রং-তুলি। সম্প্রতি ‘ডয়চে ভেলে‘-তে ক্রিস্টিনা বারেকের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায় তালেবান দখলের পরও শিল্পী হিসেবে হাল ছেড়ে দেন নি শামসিয়া হাসানি।  

ইতিপূর্বে আফগানিস্তানের প্রথম নারী গ্রাফিতি ও পথশিল্পী হিসেবে আন্তর্জাতিক সাফল্য পাওয়া হাসানি অসংখ্য মার্কিনি, ইউরোপিয় ও এশিয় রাষ্ট্রে নানা রাস্তার পাশের ম্যুরাল তৈরি বা গ্যালারি প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া ছাড়াও ‘গুডনাইট স্টোরিজ ফর রেবেল গার্লস‘-এ অন্তর্ভুক্ত হন, যেখানে পৃথিবীর লৈঙ্গিক ছক বদলে দেয়া নারীদের ভেতর তাঁকেও গণ্য করা হয়। সেই হাসানিই তালেবানদের হাতে কাবুলের পতনের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেমন ফেইসবুক বা ইনস্টাগ্রামে আরো বেশি মুখরিত হয়ে উঠছেন বলে জানা যায় ক্রিস্টিনার প্রতিবেদন থেকে। 

নিচের ছবিতে উজ্জ্বল নীল রঙের পোশাকে আবৃতা মেয়েটি তার ঘাড়ের উপর ঝুলতে থাকা অন্ধকার, আতঙ্ক জাগানিয়া বন্দুকধারীর বিপরীতে যেন আজো আশার প্রতীক জাগিয়ে রেখেছে- নীলই যেন কালো অন্ধকারের ভেতর আশার উপস্থিতি- যদিও ছবির মেয়েটির মুখের চূড়ান্ত আতঙ্ক ও হতাশা আজকের আফগান নারী যে ভয়ানক বঞ্চনার মুখোমুখি সেটাই ফুটিয়ে তুলেছে- ইনস্টাগ্রামে এই ছবিটি দশ হাজারের উপর লাইক ও ফেসবুকে বেশ কয়েক হাজার শেয়ার অর্জন করেছে। 
ছবিটি সম্পর্কে হাসানি ব্যখ্যা করেন এভাবে: ‘তার চোখ দু‘টো বোঁজা, কারণ এই সাধারণত সে তার চারপাশে ভালো কিছুই খুঁজে পায় না... এবং কখনো কখনো সে তার ভবিষ্যতও দেখতে পায় না। এবং সেজন্যই তার চোখ বোঁজা, তবে এর মানে এই নয় যে সে দেখতে পায় না।‘

এই ছবিটি দেখে শামসিয়ার হাজার হাজার অনুসরণকারী আফগানিস্তানের মেয়েদের জন্য উদ্বেগ ও প্রার্থনার পাশাপাশি কাবুলে বসবাসকারী হাসানির নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তিত হয়ে পড়েছে। 

সত্যি বলতে, তালেবান দখলের পরই আফগান মেয়েরা তাদের রাজধানী শহরের জনপরিসরে বের হওয়া এড়াতে শুরু করে এবং বহুশিল্পী তালেবান হামলার ভয়ে তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একাউন্টে চ্যাট মেসেজ মুছে ফেলা শুরু করে, অনেকে একাউন্ট বন্ধও করে দেন। তালেবান বিজয়ের পর হাসানির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একাউন্টও কিছু দিন নীরব ছিল, যা তার ভক্তদের তার সম্পর্কে উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল। তবে অল্প ক‘দিন পরেই আমার সামাজিক মাধ্যমে নিয়মিত হতে শুরু করেন তিনি। ‘অন্ধকারের উদ্দেশ্যে মৃত্যু‘ বা ডেথ টু ডার্কনেস সিরিজের ছবিগুলোর মাধ্যমে শামসিয়া সবাইকে জানান দেন যে তিনি তাঁর কাজ অব্যাহত রাখছেন এবং আফগান নারীদের অভিজ্ঞতাকে কণ্ঠস্বর দিতে চাচ্ছেন। হাসানির ম্যানেজার জানিয়েছেন, এই শিল্পী কাউকে সরাসরি ইন্টারভিউ দিতে পারবেন না তবে তিনি একটি নিরাপদ স্থানেই আছেন যার সন্ধান এখনো কেউ পায়নি। 

তালেবান শাসনে নারী শিল্পীরা দ্বিগুণ ঝুঁকির মুখোমুখি 

এই তালেবান শাসনের সময়ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন নারী চিত্রশিল্পীর ছবি পোস্ট করাটা অবশ্যই বেশ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। অধিকাংশ বিশ্লেষক এবং মানবাধিকারকর্মী মনে করছেন যে সেই নব্বই দশকের মতোই কঠোর নিয়ম-কানুন এবং ভয়ানক সব শাস্তি পুনরায় মেয়েদের উপর চালু হবে বা হতে যাচ্ছে। নারী শিল্পীদের ক্ষেত্রে এই হুমকি দ্বিগুণ হবার আশঙ্কাই বেশি।

এ প্রসঙ্গে সেই ২০১৬ সালেই শামসিয়া হাসানি দ্য ক্রিয়েটর্স প্রজেক্টকে একটি ভিডিও আলাপচারিতায় বলেন, ‘কিছু মানুষ মনে করেন যে ইসলামে চিত্রকলা নিষিদ্ধ এবং তারপর তাদের মনে হয় যে তাদের উচিত আমাকে থামানো... এ রকম বেশ কিছু বদ্ধ মন একত্রিত হলে তারা খুবই শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং তখন তারা যে কোন কিছু করতে পারবে।‘

এ ছাড়াও হাসানি তালেবানসহ অন্য নানা চরমপন্থী গোষ্ঠির আক্রমণের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতেও তাঁর শিল্পকে ব্যবহার করেন যা কিনা তাঁর শিল্পকর্মের ভোক্তাদের মনে বেদনা ও ক্ষতির প্রতিফলন ঘটায়। 

কেন তাঁর ছবিতে নারীদের হাতে বাদ্যযন্ত্র দেখা যায়

‘আমি বাদ্যযন্ত্র একটি প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করি যার সাহায্যে নারী তার গলার স্বর নিয়ে খেলতে পারে। এই বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করেই একজন নারী সমাজে আর দশটা মানুষের সাথে কথা বলতে পারে, অথবা আরো জোরের সাথে কথা বলতে পারে যাতে সে অধিকতর মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে, যেহেতু রক্ষণশীল সমাজে দৃশ্যত তার কোনো মুখ নেই। এই বাদ্যযন্ত্রই তাকে সমাজে কথা বলার শক্তি যোগায়,‘ হাসানি বলেছিলেন ২০১৮ সালে এক আলাপচারিতায়।

কাবুলে গ্রাফিতি আঁকায় নারীর চ্যালেঞ্জ 

সমাজের যে অনভিজাত নর-নারীর গ্যালারি বা যাদুঘরে যাবার সুযোগ খুব কম, তাদের জন্য গ্রাফিতি বা আলোকচিত্র একটি ভালো মাধ্যম হতে পারে বলে শামসিয়া মনে করেন। এখন তো তালেবান এসেছে। এমনকি অতীতের তুলনামূলক উদারনৈতিক সরকারের সময়েও গ্রাফিতি আঁকতে গিয়ে অনেক অস্বস্তি পোহাতে হয়েছে তাঁকে। 
‘জন পরিসরে কাজ করার কথা ভাবতে আমি সত্যিই ভয় পাই। আমি চারপাশে সারাক্ষণ বোমা বর্ষণের শব্দকে ভয় পাই। এবং বিশেষত মেয়েদের জন্য সত্যিই দেয়ালচিত্র আঁকার কাজ করাটা এত কঠিন যেহেতু মানুষ আসলে মেয়েদের এ ধরনের কাজ পছন্দ করে না।‘ শামসিয়া বলেছেন একাধিক বার। রক্ষণশীল আফগান সমাজের নারী হয়েও তবে কিভাবে এত দেয়ালচিত্র এঁকেই চলেছেন?

সাধারণত কাবুল শহরের দেয়ালে তিনি খুব বেশি জায়গা নিয়ে ছবি আঁকেন না যাতে দ্রুতই কাজ শেষ করা যায়। এই ‘ক্ষতিটুকু‘ পূরণ করতে তিনি বিভিন্ন দালানপাটের ছবি নিয়ে সেগুলোর দৃশ্যপটের উপরেই ছবি আঁকেন। যার নাম দিয়েছেন তিনি ‘ড্রিমিং গ্রাফিতি‘ সিরিজ হিসেবে। এমনকি বড় পরিসরের ক্যানভাস থেকে ডলারের বিলে আঁকা তাঁর ছবিতে শামসিয়া মার্কিনী বিদেশ নীতি নিয়েও আসলে তাঁর মন্তব্য রেখেছেন। 

শিল্প ভুবনে বহু প্রশংসা কুড়োলেও হাসানি মনে করেন যে মাঝে মাঝে তাঁর মনে হয় সব শিল্প প্রচেষ্টাই ব্যর্থ। তিনি কি তাঁর সমাজকে এতটুকু বদলাতে পেরেছেন? তবু হাল ছেড়ে দেন না তিনি। বলেন, ‘আমার মনে হয় আমি আমার শিল্প সৃষ্টি দিয়ে মানুষের মন বদলাতে পারি।‘

তথ্যসূত্র

১. ডয়চে ভেলে  (Graffiti artist Shamsia Hassani: Giving voice to Afghanistan’s oppressed by Cristina Burack, August 2021),
২. উইকিপিডিয়া

 

ঢাকা/তারা

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়