শিক্ষার্থী শূন্যতার ঝুঁকিতে যবিপ্রবির ভেটেরিনারি অনুষদ

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদে (ডিভিএম) টানা ৪ বছর ধরে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অনুষদটি শিক্ষার্থী শূন্যতার ঝুঁকিতে পড়েছে। বর্তমানে অনুষদের ১০টি বিভাগে মাত্র ৩টি ব্যাচে মোট ১৬০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছেন।

ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদে সর্বশেষ শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হয়েছিল ২০২০–২০২১ শিক্ষাবর্ষে। সে সময় প্রতিষ্ঠানটি ‘ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ’ নামে পরিচিত ছিল। ২০২৩ সালের শেষ দিকে কলেজটি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদে রূপান্তরিত হলেও ২০২৪–২০২৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত কোনো নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হয়নি। ফলে অনুষদটি চরম শিক্ষার্থী সঙ্কটের মুখে পড়েছে।

২০২০–২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল রানা বলেন, “শিক্ষার্থীরাই একটি ক্যাম্পাসের প্রাণ। পরপর ৪ বছর ভর্তি না নেওয়ায় ভেটেরিনারি ক্যাম্পাস কার্যত প্রাণহীন হয়ে পড়েছে। এতে স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। জুনিয়র ব্যাচ না থাকায় রিটেক বা পুনঃপরীক্ষার সুযোগ মিলছে না, ফলে অনেক শিক্ষার্থীকে স্পেশাল পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে, যা সময় ও অর্থ; দুই দিক থেকেই ব্যয়বহুল। এছাড়া, হলের ডাইনিং খরচও অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। চলতি শিক্ষাবর্ষেও ভর্তি না হলে ঝিনাইদহ ক্যাম্পাস পুরোপুরি শিক্ষার্থী শূন্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই ভর্তি কার্যক্রম শুরু হোক।”
অনুষদের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা জানান, পর্যাপ্ত ব্যাচ না থাকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা কিংবা একাডেমিক কোনো ইভেন্ট আয়োজন করা যাচ্ছে না। ভর্তি বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ পড়াশোনা শেষ করে ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার পরামর্শ দেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল আমিন বলেন, “দীর্ঘদিন শিক্ষক সঙ্কট ছিল, এখন শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। সামনের শিক্ষাবর্ষ থেকেই ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে।”
ভেটেরিনারি অনুষদে ভর্তি প্রসঙ্গে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, “২০২৫–২০২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হবে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শেষে অনুষদটিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।”