উচ্ছেদ আতঙ্কে শতাধিক রাখাইন পরিবার

কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডীতে উচ্ছেদ আতঙ্কে রয়েছে শতাধিক সংখ্যালঘু রাখাইন পরিবার। পানি উন্নয়ন বোর্ড সেখানে উপকূলীয় প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়ায় অধিগ্রহণের আওতায় এ সব বসতি উচ্ছেদ করা হবে।

রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রায় ৪০০ বছরের বাপ-দাদার বসতভিটা, বৌদ্ধ বিহার ও শ্মশান ভূমির জমিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুপার ডাইক নির্মাণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজন।

সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ রাখাইন স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ও চৌফলদন্ডীর রাখাইন সম্প্রদায় প্রতিবাদী এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

সমাবেশে রাখাইন নেতারা জানান, চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের উত্তর রাখাইন পাড়া, মধ্যম রাখাইন পাড়া ও দক্ষিণ রাখাইন পাড়ায় বেড়িবাঁধ ঘেষে প্রায় ৪০০ বছর ধরে তিনটি রাখাইন পল্লীর শত শত রাখাইন পরিবার বসবাস করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি উপকূল সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় সুপার ডাইক নির্মাণের জন্য সেইসব পরিবার, বৌদ্ধ বিহার, শ্মশান ভুমি থেকে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যে কারণে শত শত রাখাইন পরিবার উচ্ছেদ আতংকে ভুগছে।

সমাবেশে বক্তারা বিকল্প জমিতে এ প্রকল্প স্থাপনের দাবি জানান।

বক্তারা আরও বলেন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যদি একটি জাতিগোষ্ঠীর অস্তিত্ব রক্ষায় হুমকি হয়ে দাঁড়ায় তাহলে এটি দেশের জন্য অকল্যাণ বয়ে আনবে।

বাংলাদেশ রাখাইন স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ক্যাখিন রাখাইনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি দীপংকর বড়ুয়া পিন্টু, কক্সবাজার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সত্যপ্রিয় চৌধুরী দোলন আদিবাসী ফোরাম কক্সবাজার-এর সাধারণ সম্পাদক মংথেনহ্লা রাখাইন, রাখাইন নেতা মংওয়ান রাখাইন, ক্যায়াইন রাখাইন, ক্যাছেন ওয়ান রাখাইন, ক্যাছেন মিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে কেঁচো মিন রাখাইন, অং সেন লাইন বলেন, বেড়িবাঁধের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের মালিকানাধীন সরকারি পরিত্যক্ত জমি রয়েছে। ওই জমিতে ডাইক নির্মাণ করলে রাখাইন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বিলুপ্ত থেকে রক্ষা পাবে।

পরে তারা কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেন।


সুজাউদ্দিন রুবেল/বকুল