ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

চামড়া নিয়ে মহাজনের অপেক্ষায় সান্তাহারের আড়তদাররা

আদমদীঘি (বগুড়া) সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৯, ১১ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
চামড়া নিয়ে মহাজনের অপেক্ষায় সান্তাহারের আড়তদাররা

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের আড়ত এখন কোরবানির পশুর চামড়ায় ভর্তি। লবণ মাখিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করে মহাজন বা ট্যানারি মালিকের প্রতিনিধিদের অপেক্ষায় রয়েছেন আড়তদাররা।  

গত বছরের চেয়ে এবার বেশি চামড়া সংগ্রহ করেছেন আড়তদাররা। সান্তাহারে গত বছর সাড়ে ৪ হাজার পিস চামড়া কেনেন তারা; এ বছর কিনেছেন ৫ হাজার পিস। তবে আড়তদাররা দুশ্চিন্তায় আছেন। কারণ ট্যানারি মালিকদের কাছে চার বছর আগের চামড়ার ৫০ ভাগ টাকা এখনো তুলতে পারেননি তারা। 

চামড়ার দাম কম হওয়ায় এবার আড়তদাররা বেশি চামড়া সংগ্রহ করেছেন। সেই চামড়া এখন লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে। তবে এভাবে সংরক্ষণ করা চামড়া মাস দেড়েকের মধ্যে বিক্রি করতে হবে। 

সান্তাহার পৌর শহরের চামড়া গুদাম এলাকার ব্যবসায়ী জামাতুল ইসলাম জানান, গত বছর ১ হাজার পিস চামড়া কেনেন তিনি। দাম কম পাওয়ায় এ বছর ১২শত পিস কিনেছেন। কিন্তু ঈদের এক সপ্তাহ পার হলেও মহাজনরা তার আড়তে চামড়া কিনতে আসেননি। তাই লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন।

রোববার (৯ আগস্ট) দুপুরে সান্তাহার পৌর শহরের আব্দুল কুদ্দুসের গুদামে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে কোরবানির চামড়া স্তূপাকারে রাখা হয়েছে। সেগুলো লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। এ সময় কথা হয় আব্দুল কুদ্দুসের সঙ্গে। 

তিনি বলেন, পর্যাপ্ত লবণ দিয়ে যথাযথভাবে চামড়া সংরক্ষণ করা গেলে মহাজনের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত দাম পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তা নাহলে কাঁচা চামড়া কম দামে বিক্রি করতে হলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে। 

সান্তাহার চা বাগান এলাকায় দারুল উলুম মাদ্রাসার হিসাবরক্ষক মকতেব আলী জানান, এবারে তারা দানের ৩৬৫টি গরু, ২৭৩টি ছাগল ও ৩৩টি ভেড়ার চামড়া পেয়েছেন। সেগুলো কম দামে বাকিতে বিক্রি করতে হয়েছে। গরুর চামড়ার দাম ধরা হয়েছে গড়ে ৪৫০ টাকা। ছাগল ও ভেড়ার চামড়ার দাম না ধরেই ব্যবসায়ীকে দিতে হয়েছে। 

বাবু লাল, রুস্তুম আলীসহ বেশ কয়েকজন আড়তদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকার গরুর কাঁচা চামড়া প্রতি বর্গফুট ৩০-৩৫ টাকা; খাসির চামড়া ১৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। সেই হিসাবে বড় গরুর চামড়ার দাম দাঁড়ায় ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা। 

তারা সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া কিনে লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন। চামড়া কিনতে ট্যানারি মালিকদের প্রতিনিধিদের এখনো দেখা মিলছে না। যদি সঠিক সময়ে ও সঠিক দামে চামড়া বিক্রি করতে না পারেন তাহলে লোকসান গুনতে হবে তাদের। 

জেন্টু/বকুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়