ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ফুলের মহাসড়ক 

জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:০০, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৩:৪৫, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
ফুলের মহাসড়ক 

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশ রীতিমতো ফুল বাগানে পরিণত হয়েছে। মহাসড়কের মাঝখানের রোড ডিভাইডার বা আইল্যান্ড এখন নানান রকমের ফুলে ফুলে সুশোভিত। নানান রঙের ফুলের নান্দনিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন মহাসড়কে চলাচলকারীরা।

এই মহাসড়কে বাহারি ফুলের নজরকাড়া সৌন্দর্য চলারপথে যোগ করছে এক ভিন্নমাত্রা। দীর্ঘ পথজুড়ে রয়েছে সারি সারি ফুলের গাছ।  দীর্ঘ যাত্রাপথে ক্লান্তি ভুলিয়ে রঙ-বেরঙের ফুল আর সবুজের সমারোহ এনে দেয় প্রশান্তির ছোঁয়া। মাইলের পর মাইল পথ লাল হলুদ সাদা গোলাপী ফুলের দিকে তাকাতে তাকাতে কখন যে কেটে যায় সময়, তা টেরই পান না পথযাত্রীরা।

বর্ষা পেরিয়ে এই শরৎ মৌসুমে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ১৪৩ কিলোমিটার পথ, বিশেষ করে মহাসড়কের কুমিল্লার ১’শ কিলোমিটার অংশে লাগানো হৈমন্তী, কুর্চি, টগর, রাধাচূড়া, কাঞ্চন, সোনালু, কৃষ্ণচূড়া, কদম, বকুল, পলাশ, করবী, ক্যাসিয়া, জারুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ এখন ফুলে ফুলে রঙীন। দেখে মনে হবে যেন মহাসড়কের মাঝখানে বসেছে ফুলের মেলা।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে লাইফ লাইন বললেও বেশি বলা হবেনা। একদিকে দিনে ফুলের সৌন্দর্যে একরাশ মুগ্ধতা, অন্যদিকে রাতে আইল্যান্ডের গাছগুলো সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সহায়ক হিসেবে কাজে আসছে ।  মহাসড়কের মাঝখানে সারিবদ্ধ লাগানো ২ থেকে ৫মিটার উচ্চতার এই গাছ রাতে  বিপরীতমুখী গাড়ির হেডলাইটের আলো থেকে চালকদের চোখে বাঁচিয়ে দিচ্ছে। ফলে এই মহাসড়কে রাতের সড়ক দুর্ঘটনাও অনেকাংশে কমেছে মনে করছেন যানবাহনের চালক এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তারা।

কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. আহাদ উল্লাহও সে কথাই বললেন। তিনি বলেন, সারি সারি ফুলের গাছ লাগানোর প্রথম কারণ সৌন্দর্য বর্ধন এবং দ্বিতীয় কারণ অবশ্যই বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির হেডলাইটের আলো চালকদের চোখ রক্ষা। ফলে দুর্ঘটনাও কম হচ্ছে।

এদিকে সৌন্দর্য বর্ধনকারী ফুল গাছের পাশাপাশি ঔষধি গাছ রোপণ করা হলে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের দিকে দিয়েও মানুষের উপকারে আসবে বলে মনে করছেন কুমিল্লার সামাজিক সংগঠন জাগ্রত মানবিকতার সাধারণ সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনা।

পরিবেশ ও সামজিক সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশনের সভাপতি এস.এম. মিজান (পাপ্পু) বলেন, দেশের মহাসড়কে ফুলের এমন দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হন অনেকেই। তবে, এমন সৌন্দর্য ধরে রাখতে ফুল গাছগুলোর যথাযথ পরিচর্যা এবং ডিভাইডারে ময়লা ফেলা বন্ধ করা প্রয়োজন।

কৃষি ও পরিবেশবাদী সংগঠক অধ্যাপক মতিন সৈকত বলেন, আইল্যান্ডে লাগানো গাছগুলো সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণেও সহায়ক। তিনিও ফুল গাছগুলোর পরিচর্যার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

কুমিল্লা/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়