চলন্ত অটোরিকশায় বাবাকে জখম করে মেয়েকে কেড়ে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নে চলন্ত অবস্থায় একটি অটোরিকশায় হামলা চালিয়ে (১৯) বাবাকে জখম করে মেয়েকে কেড়ে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

এসময় বখাটের হামলায় ওই মেয়ের বাবা ফারুক ও রিকশাচালক ফকির আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের বড়চারীগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে সেনবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ওই মেয়ে তার বাবা ফারুককে নিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বীজবাগে নানার বাড়িতে আসছিলেন। সন্ধ্যায় তাদের রিকশাটি নবীপুর ইউনিয়নের বড়চারীগাও এলাকায় পৌঁছলে ওই গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে বাবু (২৩) রিকশার গতিরোধ করার চেষ্টা করে। চালক ফকির না দাঁড়িয়ে চলে যাওয়ার সময় বাবু তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে রিকশা থেকে পড়ে যায় ফকির। এসময় সে ওই মেয়েকে রিকশা থেকে টেনে হিঁচড়ে নামানোর চেষ্টা করলে তার বাবা বাঁধা দেয়। বাবু ওই মেয়ের বাবাকেও মারধর করে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

ভিকটিমের অভিযোগ, বাবু তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে তার এক সহযোগিসহ পাশ্ববর্তী একটি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে স্থানীয় আরও এক যুবক তাদের সঙ্গে এসে একত্রিত হয়। পরে তিনজন মিলে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এসময় তার চিৎকারে তার বাবা, স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ লোকজন একত্রিত হলে তারা পালিয়ে যায়।

ভিকটিমের বাবা জানান, আহত অবস্থায় তিনি দৌঁড়ে স্থানীয় চৌরাস্তা এলাকায় গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উল্যাহ বিএসসিকে দেখতে পেয়ে বিষয়টি অবগত করেন। চেয়ারম্যান লোকজন নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বখাটেরা পালিয়ে যায়।

ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, এঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।