ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

এসআই আকবরের মোবাইল ফোন ও ব্যবহৃত কাপড় উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০১:১৮, ২০ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ০৩:৪২, ২০ নভেম্বর ২০২০
এসআই আকবরের মোবাইল ফোন ও ব্যবহৃত কাপড় উদ্ধার

সিলেটের বন্দর বাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনার মামলায় প্রধান অভিযুক্ত সাময়িক বরখাস্ত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়ার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন সেট, তিনটি সিম, কাপড়-চোপড়, ছবিসহ আরো কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্তের পাতিছড়া এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এসব জিনিস উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ৯ নভেম্বর ওই এলাকা থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

সিলেট জেলা পুলিশের কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দোহা পিপিএম এসব জিনিসপত্র উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পৃথক দুটি ব্যাগের মধ্যে একটি ব্যাগে দুইটি এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট, ৩টি মোবাইলের সীম, বাংলাদেশি ২০ টাকার একটি নোট, বহিস্কৃত এসআই আকবর ও দুই নারীর বেশ কয়েকটি ছবি পাওয়া যায়। অপর ব্যাগে জিন্সের শার্ট, সোয়েটার, স্যান্ডো গেঞ্জি ও দুইটি গামছা পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি।

অভিযানকালে সিলেট জেলা পুলিশের জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোহাম্মদ নাসের এবং রায়হান হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের ইন্সপেক্টর আওলাদসহ একদল পুলিশ অংশ নেন।

নিহত রায়হানের মা সালমা বেগম মামলার আলামত হিসেবে আকবরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও সিম উদ্ধারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সর্বশেষ গত ১৪ নভেম্বর দুপুরে নগরের আখালিয়া নেহারীপাড়ায় তার বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনেও এ দাবি করেন।

আকবরের গ্রেপ্তারের পরদিন ১০ নভেম্বর সিলেট চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের বিচারক মো. আবুল কাশেমের আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড চাইলে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত মঙ্গলবার এস আই আকবরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে টাকার জন্য রায়হানকে (৩৩) নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। পরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সিলেট কোতয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।

মামলায় ফাঁড়ির পুলিশের বিরুদ্ধে তার স্বামীকে নির্যাতন করে মেরে ফেলার অভিযোগ করেন তিনি। আলোচিত এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রধান অভিযুক্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজন পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

নোমান/আমিনুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়