ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জ মুক্ত হয়েছিল ১৪ ডিসেম্বর

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৫, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৭:৩২, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০
সিরাজগঞ্জ মুক্ত হয়েছিল ১৪ ডিসেম্বর

সিরাজগঞ্জ মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাক হানাদার মুক্ত হয় সিরাজগঞ্জ। বীর মুক্তিযোদ্ধারা শহরে বিজয়ের প্রতীক হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে দেয়।

মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমন ও চলমান পরিস্থিতির কারণে ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে সিরাজগঞ্জে পাক হানাদার বাহিনীর মনোবল ভাঙতে শুরু করে। তাদের সহযোগী তথাকথিত শান্তি রক্ষা কমিটি (রাজাকার) মুজাহিদ বাহিনী ও আল বদরদের সহযোগীরাও সীমিত এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ হতে থাকে।

১৩ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীকে তিনদিক থেকে ঘিরে ফেলে। স্থল ও নৌপথ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। একমাত্র রেলপথ হানাদারদের দখলে থাকে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা সিরাজগঞ্জের রেলওয়ে ঘাট, যমুনা নদীর তীর, কাজীপুর মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় সমবেত হন। এ সময় হানাদার বাহিনী তাদের নিশ্চিত পরাজয় জেনে মুক্তিযোদ্ধাদের হাত থেকে রক্ষা পাবার
জন্য ট্রেন যোগে পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর দিকে পালিয়ে যায়।

মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রবর্তী বাহিনীও রেকি করতে পাঠানো মুক্তিযোদ্ধাদের মাধ্যমে হানাদারদের পালিয়ে যাওয়ার খবর সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। পরে জয় বাংলা ধ্বনি ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে ধ্বংস করে ফেলা শহীদ মিনারের পাদদেশে সমবেত হন মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা সেখানে দেশ গঠনের শপথ নেন। এখানে আমীর হোসেন ভুলুকে মুক্তিবাহিনীর আঞ্চলিক অধিনায়ক ও ইসমাইল হোসেনকে প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

সিরাজগঞ্জ শহর থেকে পাক হানাদারদের পালিয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে জেলার বেলকুচি, কামারখন্দ, রায়গঞ্জ, চৌহালী, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর থানা এলাকাসহ অন্যান্য এলাকাগুলোও হানাদার মুক্ত হয়। ১৪ ডিসেম্বর ভোরে শহরের ওয়াপদা অফিসে পাকবাহিনীর মূল ক্যাম্প দখলে নেন মুক্তিযোদ্ধারা। ওইদিন কওমী জুটমিল, মহকুমা প্রশাসকের কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে উড়িয়ে দেওয়া হয় লাল সবুজের জাতীয় পতাকা।

অদিত্য রাসেল/টিপু

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়