বালিশ চাপা দেন বাবা, পা ধরে রাখেন মা, ছুরি চালায় বোন
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
বালিশ চাপা দেন বাবা, পা ধরে রাখেন মা ও ছুরি চালায় বোন— এমন তথ্য দিয়ে হাসান (১৭) নামের এক কিশোরকে হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন তার বাবা-মা ও বোন।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঘটনার ১৮ দিন পরে ডোবা থেকে হাসানের লাশ উদ্ধারের করা হয়। এরপর শনিবার (৯ জানুয়ারি) উপজেলার হোসেন্দী বাজার থেকে বাবা-মা ও বোনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তারা স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য দেন।
রোববার (১০ জানুয়ারি) তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইছ উদ্দিন।
গ্রেপ্তাররা হলেন— বাবা মো. শামীম শিকদার (৪০), মা হাসিনা বেগম ও নিহতের বোন শিলা (১৫)।
ওসি রইছ উদ্দিন জানান, জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার পর ডোবায় ছেলের লাশ ফেলে দেয়ার কথা বাবা শামীমসহ মা ও বোন স্বীকার করেছেন।
তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, গত ২১ ডিসেম্বর ঘটনার রাতে নিহত হাসানের ছোটবোন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয়।
এসময় ভাই হাসান তাকে নিজের ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেয়ের চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে বাবা শামীম ছেলে হাসানকে ধরে তার মুখে বালিশ চাপা দেন। আর মা হাসিনা বেগম ছেলের পা ধরে রাখেন। এসময় ছোটবোন ছুরি দিয়ে হাসানের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়। পরে তারা মিলে বাড়ির পাশের ডোবায় লাশ ফেলে দেন।
ঘটনার ১৮ দিন পর শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) বাড়ির পাশের ডোবা থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। এরপর তারা মরদেহ দেখছেন বলে পুলিশকে খবর দেন। সকাল ৯টার দিকে ডোবা থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় হাসানের লাশ উদ্ধার করে গজারিয়া পুলিশ। লাশ উদ্ধারের সময় হাসানের পরিবারের সদস্যরা জানান ২১ তারিখ থেকে হাসান নিখোঁজ ছিলো।
ওসি আরও জানান, অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে নিহত হাসানের বাবা-মা ও বোন হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এঘটনায় নিহতের ছোট ভাই হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মূলত ছোটভাই হোসেনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
রতন/বুলাকী
আরো পড়ুন