তাহিরপুরে সাংবাদিককে গাছে বেঁধে নির্যাতন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় অবৈধভাবে নদীর পাড় কেটে বালু উত্তোলনের ছবি তুলতে গেলে স্থানীয় সাংবাদিক কামাল হোসেনকে (৩০) গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার যাদুকাটা নদীর পাড়ে ঘাগটিয়াবাজারে তাকে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একদল মানুষের উপস্থিতিতে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বাঁধা কামাল হোসেন বলছেন- ‘তোর আল্লার দোহাই লাগে আমারে রশি দিয়ে গাছের সাথে শক্ত করে বাঁধিস না। একটু ডিল করে দে। আমি চুর না, আমারে এ রকম বাঁধিস না। আমাকে একটু মাটিতে বসার জায়গা দে।’
তখন এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘দেশের মানুষ অসহায়, মানুষ কাজ করে খাবে, না চুরি করে খাইবো। নিজের বাপ দাদার সম্পদ ভাইঙা ভাত খাইতো পারে না? আর তোরা আইয়া ফটু তুলি নিয়া যাছ।’
কামাল হোসেন ‘দৈনিক সংবাদ’ ও সিলেট থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক শুভ প্রতিদিন’ এর তাহিরপুর প্রতিনিধি। তিনি তাহিরপুর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, যাদুকাটা নদীতে বালু উত্তোলনের ছবি তুলতে যান কামাল হোসেন। এ সময় তাকে টেনে-হিঁচড়ে ঘাগটিয়াবাজারে এনে গাছে বেঁধে মারধর করা হয়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাদাঘাট ফাঁড়ির পুলিশ তাকে উদ্ধার করে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
কামাল হোসেন বলেন, যাদুকাটা নদীর তীর কেটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ছবি তুলতে গেলে বালু খেকো ঘাগটিয়া গ্রামের রইস মিয়া, দ্বীন ইসলাম, মাহমুদুল ইসলামসহ কয়েকজন হামলা করে তাকে আহত করেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা মোবাইল, ক্যামেরা ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হাসান বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে কামাল হোসেনকে উদ্ধার করে তাহিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার কাছ থেকে নিয়ে যাওয়া মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানান এসআই মাহমুদুল হাসান।
এসআই মাহমুদুল হাসান বলেন, তিনি এখনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমিন/বকুল
আরো পড়ুন