ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

গিনেজ বুকে স্থান পাওয়া ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ ক্ষেতের ধান কাটা শুরু

বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৩৮, ২৬ এপ্রিল ২০২১   আপডেট: ২১:৪৬, ২৬ এপ্রিল ২০২১
গিনেজ বুকে স্থান পাওয়া ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ ক্ষেতের ধান কাটা শুরু

বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র হিসেবে গিনেজ বুক রেকর্ডে স্থান পাওয়া বঙ্গবন্ধুর মুখচ্ছবি ক্ষেতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। 

সোমবার (২৬ এপ্রিল) বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বালেন্দা গ্রামের শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু মাঠে ধান কাটা উৎসবের উদ্বোধন করেন শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। 

উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। সোমবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই মাঠে ধান কাটা শুরু করা হয়। 
উদ্বাধনী অনুষ্ঠানের সময় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র চন্দ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক আফজাল বাবু, সহসভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু প্রমুখ।

সমাবেশে প্রধান অতিথি জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানকে কলঙ্কিত করতে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি একত্রে মাঠে নেমেছিল। তারা হেফাজতের নামে দেশে যে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সৃষ্টি করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হেফাজত নেতা বাবু নগরী কমিটি বাতিলের যে নাটক করছেন তাতে করে তাদের রেহাই পাওয়ার কোনো উপায় নেই। যারা জাতীয় মসজিদ এবং দেশের মাদ্রাসাকে ব্যবহার করে অপরাজনীতির চেষ্টা করছে দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তাদের প্রতিহত করা হবে।’

উৎসবের উদ্বোধক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘মৌলবাদী অপশক্তি আবারও দেশে মাথা চাড়া দিতে শুরু করেছে। তারা করোনার চেয়েও দেশের জন্য ক্ষতিকর। এই শক্তিকে মোকাবেলা করাই হবে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর অঙ্গীকার।’

উল্লেখ্য, কৃষি জমিকে ক্যানভাস হিসেবে ব্যবহার করে দুই প্রজাতির ধানের সুপরিকল্পিত ও শৈল্পিক চাষের মাধ্যমে বঙ্গন্ধুর ছবি আঁকার উদ্যোগ নেওয়া হয় এই গ্রামের মাঠে। এর ফলে ১০০ বিঘা জমিতে প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। সবুজ আর বেগুনী ধানের চারায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে এবং দর্শনার্থীদের তা বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে। 

‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’ এই প্রতিকৃতি তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করে। এতে সহযোগিতা দেয় ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার। গত ৯ মার্চ গিনেজ বুক ওয়ার্ল্ডের প্রতিনিধি হিসেবে মালেন্দা গ্রামের শস্যচিত্র পরিদর্শন করেন শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ ও অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরি। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ১৬ মার্চ গিনেজ বুক কর্তৃপক্ষ বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র হিসেবে এর স্বীকৃতি প্রদান করে।

শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানান, চারা থেকে শীষ আসা, ধান হওয়া, ধান পাকা এমন প্রতিটি ধাপেই তৈরি হয় জাতির পিতার একেক ধরনের পোট্রেট। ১০০ বিঘা জমির ওপর নির্মিত ভিন্নরকম এই চিত্রকর্মের উদ্দেশ্যই ছিল গিনেজ বুক রেকর্ড করা। গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর তথ্য অনুযায়ী সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র ২০১৯ সালে চীনে তৈরি করা হয়, যার আয়তন ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট। 

বাংলাদেশের শস্যচিত্রের আয়তন প্রায় ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট বা ১ লাখ ২০ হাজার বর্গমিটার। শস্যাচিত্রটির দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার ও প্রস্থ ৩০০ মিটার। ১৭ মার্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনের আগমুহূর্তে নতুন এই বিশ্বরেকর্ড অর্জন করে বাংলাদেশ।

এনাম আহমেদ/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়