সুন্দরবনে আগুন

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বাগেরহাটের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানি এলাকায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সোমবার (০৩ মে) দুপুরে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখেলা রেঞ্জের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, এলাকাবাসী বনের মধ্যে আগুনের ধোঁয়া দেখে তাদের খবর দেয়। সিপিজি সদস্য (বন পাহারা দেওয়ার জন্য কমিউিনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ), গ্রামবাসী, বন বিভাগের ভোলা ও ধান সাগর ক্যাম্পের সদস্যরা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন্।  

আনুমানিক দেড় থেকে দুই একর বন জুড়ে আগুন জলছে। আগুনের চতুর্দিকে বেজ (ক্যানেল) কাটার কাজ চলছে বলে জানান এই বন কর্মকর্তা। 

আব্দুল মান্নান আরও বলেন, সুন্দরবনের মধ্যে শুকনো পাতার স্তূপ রয়েছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় প্রাকৃতিকভাবে এই আগুন ধরেছে বলে মনে করেন তিনি। 

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, বাগেরহাটের উপসহকারী পরিচালক মো. গোলাম সরোয়ার বিকেলে বলেন, সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জ স্টেশনের ২০ জন সদস্য কাজ করছেন। আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেই জন্য ওই এলাকায় ফায়ার লাইন কাটা হয়েছে। পানির উৎস পাওয়া গেছে। অল্প সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি। 

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবনের দাসের ভারানি এলাকায় অল্পকিছু জায়গায় আগুন ধরেছে। যে এলাকায় আগুন ধরেছে, ওই এলাকায় সুন্দরী গাছের পরিমাণ কম। ফায়ার সার্ভিস ও বন কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে। তদন্ত কমিটি গঠন করে আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুন লাগার কারণ জানানো হবে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় সিপিজির টিম লিডার লুৎফর রহমান বলেন, বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি তারা আগুন নেভানোর কাজে অংশ নিয়েছেন। তারা আশা করছেন, দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন। 

সুন্দরবন সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি ও রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আছাদুজ্জামান মিলন বলেন, সুন্দরবনে বার বার আগুন লাগার ঘটনায় তারা উদ্বিগ্ন। আগুন লাগার কারণ স্পষ্টভাবে জানা যায় না। যখনই আগুন লাগে, তখনই দায়সারা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আগুন লাগার মূল রহস্য উদঘাটন হওয়া জরুরি। ভবিষ্যতে যাতে আগুন না লাগে সেই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

তিনি বলেন, সুন্দরবনের এই অগ্নিকাণ্ড মানবসৃষ্ট কি না তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।