ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কেশবপুরে আ. লীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫৫, ৭ মে ২০২১  
কেশবপুরে আ. লীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

যশোরের কেশবপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৭ মে) বেলা ১১টার দিকে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সরকারি মানবিক সহায়তা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পৌরসভার বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

আহতদের উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত ৩ জনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। 

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সরকারি মানবিক সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এলাকাবাসী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বালিয়াডাঙ্গা সাইক্লোন সেন্টারে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে ৪৫০ টাকা করে সরকারি সহায়তা দেওয়া হচ্ছিলো। সে সময় কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার ৯ নম্বর বালিয়াডাঙ্গা ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর শেখ এবাদত সিদ্দিক বিপুল এবং পৌর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। শেখ এবাদত সিদ্দিক বিপুল ও আবুল কালাম আজাদ গত পৌর নির্বাচনে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। 

সংঘর্ষে কাউন্সিলর শেখ এবাদত সিদ্দিক বিপুল গ্রুপের সমর্থক বালিয়াডাঙ্গা এলাকার মেহেদী হাসান (৩২), সোহেল রানা (৩২), আমীর আলী (৫০), আব্দুর রশিদ, আফছার আলী (৬৫), আবুল কালাম আজাদ গ্রুপের সমর্থক সোহান (২৫), মারুফ (৩৫), জাহিদ (২৫), রাজু (২৫), কুদ্দুস (২৭), নাজমুল (২২) এবং ফাতেমা বেগম (৪০) আহত হন। 

আহতদের উদ্ধার করে এলাকাবাসী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত সোহান, নাজমুল ও সোহেল রানাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় শেখ এবাদত সিদ্দিক বিপুল ও আবুল কালাম আজাদ একে অপরকে দোষারোপ করেছেন।

সরকারি সহায়তা বিতরণকারী পৌরসভার অফিস সহকারী হাবিবুর রহমান জানান, বালিয়াডাঙ্গা সাইক্লোন সেন্টারে দুই পক্ষের সংঘর্ষের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সরকারি মানবিক সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়া হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আহসানুল মিজান রুমী বলেন, ‘হাসপাতালে ১১ জন ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্য থেকে দুজনকে রেফার্ড করা হয়েছে। বাকি চার জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।’

কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কেউ অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

রিটন/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়