ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় সাতক্ষীরায় ব্যাপক প্রস্তুতি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৬, ২৪ মে ২০২১   আপডেট: ১৬:২৮, ২৪ মে ২০২১
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় সাতক্ষীরায় ব্যাপক প্রস্তুতি

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। আগামী বুধবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরাসহ উপকূলীয় এলাকায় ইয়াস নামের এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত আনার আশঙ্কা রয়েছে। 

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলীয় শ্যামনগর ও আশাশুনী উপজেলাসহ জেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনাসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

সোমবার (২৪ মে) দুপুরে সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের অফিসার ইনচার্জ জুলফিকার আলী রিপন ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আশঙ্কার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

ঘূর্ণিঝড়কে সামনে রেখে সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনী উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ জরুরি মেরামতের প্রয়োজনে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় জনসাধারণ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। 

সোমবার দুপুরে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিফ-উল-হাসানের সভাপতিত্বে তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, তালা থানার ওসি মো. মেহেদী রাসেল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুরশিদ পারভীন পাঁপড়ী, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এনামুল ইসলাম, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রণব ঘোষ বাবলু, তালা উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল হকসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা বৈঠক করেন। 

এ সময় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, ইমাম, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি, সুধী সমাজ ও উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এস মোস্তফা কামাল বলেন, আশঙ্কা করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস সাতক্ষীরা ও খুলনা উপকূলে আঘাত হানবে। সেই ধরনের পূর্বাভাস দেখে আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। 

জেলা প্রশাসক জানান, সাতক্ষীরা জেলায় ১৪৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও ১৫০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১৮৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। ২ কোটি ১৫ লাখ টাকার নগদ অর্থ সহায়তার জন্য বরাদ্দ রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ওয়াটার ট্যাংকি রয়েছে। পুলিশ, আনসার, বিজিবি ও স্বাস্থ্য বিভাগ ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। জেলা প্রশাসন সব সময় সজাগ থেকে বরাবরের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  

সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাঁধ মেরামত ও মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে সাতক্ষীরার আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বলা হয়েছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সমর্থিত বিভিন্ন পর্যায়ের চেয়ারম্যান মেম্বারসহ জনপ্রতিনিধিদের সক্রিয়ভাবে মানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি। 

শাহীন/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়