সেরাদের সেরা ‘বাংলার রাজা’ ‘মানিক-রতন’ এবং ‘হিরো আলম’
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
মানিক-রতন
দুয়ারে কোরবানি ঈদ। ঈদকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলে অনলাইনে শুরু হয়েছে পশু বিক্রি। অনেকেই কোন এলাকার গরু বড়- অনলাইনে খোঁজ নিচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও মিলছে গরুর খবর। সেই সূত্রে জানা গেছে এ বছর জেলার পশুর হাট কাঁপাতে প্রস্তুত ‘বাংলার রাজা’, ‘মানিক-রতন’ এবং ‘হিরো আলম’। উল্লেখিত চারটি গরুর প্রতিটির ওজন ৩০ মণের উপরে। যদিও করোনাসৃষ্ট পরিস্থিতিতে গরুগুলোর ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন খামারিরা।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী এলাকার দুলাল হোসেন চকদারের খামারে বড় হয়েছে ৩২ মণ ওজনের ‘বাংলার রাজা’। ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতার এই ষাঁড় গরুর দাম ১৫ লাখ টাকা। দুলাল বলেন, বাংলার রাজা সবার নজর কেড়েছে! তবে করোনাভাইরাসের কারণে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
বাংলার রাজার বিক্রি নিয়ে চিন্তিত খামারি
নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলার গাজুটিয়া-সিঙ্গুরিয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. হামিদ আলীর মেয়ে হামিদা আক্তার ‘মানিক-রতন’ নামে দুটি ষাঁড় লালন-পালন করে বড় করেছেন। তার দাবি জেলায় এ দুটিই সবচেয়ে বড় গরু। একটির ওজন ৩৫ মণ, অপরটির ৩৬ মণ। গরু দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ ভিড় করছেন তার বাড়ি। হামিদা আক্তার বলেন, এবার কোরবানির হাটে মানিক-রতন হবে বিশেষ আকর্ষণ। তবে করোনাভাইরাসের প্রকোপে গরুর দাম নিয়ে তিনিও চিন্তিত। হাট বসবে কিনা এ নিয়েও রয়েছে বাড়তি দুশ্চিন্তা। অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের মানিকের দাম ১৪ লাখ, রতনের দাম ১৩ লাখ টাকা জানান তিনি।
হামিদা আক্তার জানান, তাদের বাড়িতেই ষাঁড় দুটির জন্ম। এ জন্য আদর করে নাম রেখেছেন মানিক-রতন। নামের সঙ্গে ষাঁড় দুটির খাবার এবং আচরণেও বেশ মিল রয়েছে। হামিদা বাড়ি থেকেই গরু দুটি বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। সে ক্ষেত্রে গরু নিজ খরচে ক্রেতার বাড়ি পৌঁছে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
হিরো আলম এলাকায় সাড়া ফেলেছে
এদিকে গরুর নাম ‘হিরো আলম’ রেখে মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হইচই ফেলে দিয়েছেন দেলদুয়ার উপজেলার বটতলা গ্রামের কামরুজ্জামানের স্ত্রী জয়নব বেগম। ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় গরুটির ওজন প্রায় ৩১ মণ। লম্বায় সাড়ে ৮ ফিট এবং উচ্চতা ৫ ফিট ৭ ইঞ্চি। জয়নব জানান, ষাঁড়টি তিনি প্রায় দেড় বছর আগে পাবনা থেকে কেনেন। শখ করে নাম রাখেন হিরো আলম। ষাঁড়টি গাবতলীর হাটে বিক্রি করার ইচ্ছে রয়েছে তার। দাম ১২ লাখ টাকা।
নাগরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সোহেল রানা ‘উপজেলার গরুর মধ্যে মানিক-রতন অন্যতম’ উল্লেখ করে বলেন, ‘‘আমরা ‘অনলাইন কোরবানির হাট-নাগরপুর’ নামে একটি পেজ খুলেছি। সেখানেও খামারিরা গরু-ছাগল বিক্রি করতে পারবেন।’ করোনাসৃষ্ট পরিস্থিতিতে হাটের চেয়ে অনলাইনে কেনাবেচা হতে পারে বিকল্প মাধ্যম বলে মনে করেন তিনি।
কাওছার/তারা