ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

১০০ শয্যার করোনা ইউনিটে রোগী ২৩০

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪১, ২৯ জুলাই ২০২১  
১০০ শয্যার করোনা ইউনিটে রোগী ২৩০

নজরুল ইসলাম তার স্ত্রীর করোনা উপসর্গ থাকায় ২৬ জুলাই (সোমবার) মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের ১০০ শয্যার করোনা ইউনিটে ভর্তি করিয়েছেন। কোন রকমে আইসোলেশন ওয়ার্ডে একটি শয্যা পেয়েছেন। তবে তিনি তার স্ত্রীর জন্য শয্যা পেলেও রোগী বাড়তে থাকায় শয্যা সঙ্কটে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে ভর্তি হওয়া রোগীদের।

এ চিত্র ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট করোনা ইউনিটের।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়,  করোনা ইউনিটে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের সঙ্গে ৯ টি ভেন্টিলেটর, ১২টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা, ১৩টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রটর, ১৫৬টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। ১০০ শয্যার করোনা ইউনিটে করোনা পজিটিভ রোগী ৯০ জন ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৪০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। সব মিলিয়ে রোগী রয়েছেন ২৩০ জন।

গত ২৪ ঘন্টায় এ ইউনিটে ১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী ও ২ জন উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ডে মৃত্যুবরণ করেছেন।

করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর স্বজন মো. হাদিউজ্জামান বলেন, করোনা ইউনিটে চিকিৎসা সেবা দিতে চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের আন্তরিকতার কমতি নেই। তবে ১০০ শয্যার এ ইউনিটে যেভাবে রোগী বাড়ছে তাতে রোগীদের মেঝেতে কষ্ট করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এছাড়া কোন রোগী অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার শঙ্কায় অক্সিজেন সিলিন্ডার আরেকজনকে ব্যবহার করতে দিচ্ছেন  না। হাসপাতালে নির্দিষ্ট পরিমান সিলিন্ডার থাকায় অনেক রোগীর অক্সিজেন সঙ্কট হচ্ছে।

আরেক রোগীর স্বজন মোজাম্মেল হোসেন বলেন, এ ইউনিটে গত মাসেও আমার একজন আত্মীয় ভর্তি ছিলেন। তখন শয্যা প্রায় ফাঁকা ছিলো। গতকাল (বুধবার) আরেক আত্মীয় ভর্তি হওয়ায় দেখতে এসেছি। তবে এবার তো ওয়ার্ড ভর্তি রোগী। যেভাবে রোগী বাড়ছে শয্যা, জনবল ও সরঞ্জামাদি না বাড়ালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হবে।

আরো একাধিক রোগীর স্বজনরা বলেন, হাসপাতালের নতুন ভবনের ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম তলা (কেবিন ব্লক) পুরোটাই কোভিড ডেডিকেটেড ইউনিট। পুরুষ ও মহিলাদের আলাদা আইসোলেশন ও পজিটিভ ওয়ার্ড রয়েছে। তবে রোগী বাড়াতে তাদের মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এ ভবনের পুরোটা যদি কোভিড ইউনিট করে শয্যাসহ প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জামাদি বাড়ানো হতো তাহলে ভালো হতো। এছাড়া কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ, মা ও শিশু হাসপাতাল ও মুন্নু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনিট চালু হলে শয্যা সঙ্কট কম হতো বলে মন্তব্য করেন তারা।

এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ বলেন, চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা সীমাবদ্ধতা থাকার পরও রোগীদের সেবা দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। বাড়তি শয্যা, জনবল ও সরঞ্জামাদির জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চাহিদা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুত চাহিদা মোতাবেক সব পেলে চিকিৎসা সেবার মান বাড়ানো যাবে।

জাহিদুল হক চন্দন/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়