দেবরের দেয়া আগুনে মারা গেলেন পারভীন
নরসিংদী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
পারভীন আক্তার
নরসিংদীতে দেবরের দেয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন পারভীন আক্তার (৩০)।
সোমবার (৯ আগস্ট) ভোর ৪টায় ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। পারভীন আক্তারের শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ভাই আক্রাম হোসেন।
পারভীন আক্তার রায়পুরার মরজাল এলাকার প্রবাসী জাকির হোসেনের প্রাক্তন স্ত্রী। তিনি একই উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের সোবানপুর গ্রামের দানা মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৪ বছর আগে জাকির হোসেনের সঙ্গে পারভীনের বিয়ে হয়। এ দম্পতির ঝিমি নামে ১০ বছরের একটি কন্যা রয়েছে। স্বামী প্রবাসে থাকায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পারভীনকে নির্যাতন করতো। গত বছর দেবর আলী হোসেন ঝিমিকে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় দেবর ও শ্বশুরকে আসামি করে মামলা করেন পারভীন। এরপর মামলা তুলে নেয়ার চাপ দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মামলা তুলে না নেয়ায় স্বামীর সঙ্গে পারভীনের প্রায় ৮ মাস আগে বিচ্ছেদ হয়। এরপর মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই থাকতেন পারভীন।
শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে টিকা দেয়ার কথা বলে পারভীনকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সন্ধ্যায় দেবরসহ চারজন পারভীনের মুখ বেঁধে নির্জন বাঁশঝাড়ের নিচে নিয়ে গিয়ে পারভীনের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ সময় স্থানীয় লোকজন চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে পারভীনকে উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা পাঠান।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই আক্রাম হোসেন বাদী হয়ে রোববার রায়পুরা থানায় ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ইতোমধ্যেই পুলিশ দেবর আলী হোসেনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
রায়পুরা থানার সেকেন্ড অফিসার দেবদুলাল পারভীনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ৫ জন আসামির ৩ জন ধরা পড়েছে। দুজনকে ধরতে অভিযান চলছে।
এইচ মাহমুদ/তারা