ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

নিখোঁজের ২২ বছর পর নেপাল থেকে ফিরলেন আমেনা

বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪১, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ২২:৫১, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
নিখোঁজের ২২ বছর পর নেপাল থেকে ফিরলেন আমেনা

১৯৯৮ সালে ছেলেদের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যান আমেনা খাতুন। এরপর কেটে গেছে ২২টি বছর। বগুড়ার ধুনট উপজেলার বাসিন্দা অবশেষে আবারো নিজ সন্তানদের কাছে ফিরে এসেছেন। তবে দেশের ভেতরের কোথাও থেকে না। ফিরেছেন ভিন দেশ নেপাল থেকে।

আমেনা খাতুন (৮০) বগুড়ার ধুনট উপজেলার চিকাশি ইউনিয়নের ছোট চাপড়া গ্রামের মৃত আজগর প্রামাণিকের স্ত্রী।

সোমবার ( সেপ্টেম্বর) দুপুরে নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে ঢাকায় ফিরেছেন আমেনা খাতুন।

জানা গেছে, জুন মাসে আমেনা খাতুনের সন্তানরা জানতে পারেন তাদের মা বেচে আছেন। নেপালে আছেন। এরপর সমস্ত প্রক্রিয়া শেষে সোমবার দুপুরে নেপাল থেকে একটি বিশেষ বিমানে ঢাকায় আনা হয় আমেনা খাতুনকে। পরে আমেনা খাতুনকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর মাসুদ আলম। তিনি জানান, ৩০ মে নেপালে সুনসারি জেলার কিউআরসি ইনারুয়া সানসারি-এর মুখেশ মেহেতা তার ফেসবুকে ইনারোয়া পৌরসভার ডেপুটি মেয়র জমুনা গৌতম পোখরেলের এর তত্ত্বাবধানে উদ্ধারকৃত একজন বাংলাদেশের মহিলা রয়েছে বলে  উল্লেখ করেন।

বিষয়ে নেপাল বাংলাদেশ ইয়ুথ কনক্লেভের চেয়ারম্যান অভিনব চৌধুরী বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর মাসুদ আলমকে কমেন্টসে মেনশন করেন তারপর দূতাবাস থেকে ফোনে আমিনা খাতুনের সঙ্গে কথা বলা হয়।

কিন্তু তারা আমেনা খাতুনের ঠিকানা উদ্ধারে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরীর পরামর্শে কাউন্সিলর মাসুদ আলম জুন সুনরারিতে যান। সেখানে সুনসারি বাঙালি সমাজের সভাপতি বিপ্লব ঘোষের সহায়তায় দীর্ঘসময় তিনি আমেনা খাতুনের সঙ্গে কথা বলেন এবং তার ঠিকানা উদ্ধার করেন।

বগুড়া জেলা এনএসআই কর্মকর্তাদের চেষ্টায় আমেনা খাতুনের ঠিকানা পরিবারের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। পরে সরকারি খরচে আমেনা খাতুনকে দেশে এনে সোমবার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়।

আমেনা খাতুনের নাতি আদিল জানান, তার দাদা আজগর মারা যাবার পর ১৯৯৮ সালে আমেনা খাতুন ছেলেদের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি ছাড়েন। তিন ছেলে এক মেয়ে মা আমেনা খাতুনকে খুঁজে না পেয়ে তারা ধরে নিয়েছিলেন তাদের মা আর বেঁচে নেই। ছেলে মেয়েদের ভোটার আইডি কার্ডেও মায়ের নাম লেখা হয় মৃত হিসেবে।

আমেনার বড় ছেলে আমজাদ হোসেন জানান, তার মা বেচে আছেন জানতে পেরে প্রথমে বিশ্বাস করতে না পারলেও তিনি আনন্দে আত্মহারা হয়েছেন।  মাকে নিয়ে তারা বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। দীর্ঘ ২২ বছর মাকে ফিরে পেয়ে তারা সবাই খুশি।

এনাম/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়