ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

দেড়মাস ধরে বিদ্যালয় চত্বরে পানি

বাগেরহাট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১  
দেড়মাস ধরে বিদ্যালয় চত্বরে পানি

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় চত্বর, প্রবেশ পথ ও মাঠ প্রায় দেড়মাস ধরে পানিতে নিমজ্জিত। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে পানি বিদ্যালয়ের মেঝেতে পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে।

এছাড়া প্রধান সড়ক থেকে বিদ্যালয়ের মাঠ পর্যন্ত প্রায় পঞ্চাশ ফুট রাস্তা পানিতে ডুবে আছে। ফলে বিদ্যালয়গামী শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন।  তারা জমে থাকা পানি দ্রুত নিষ্কাসনের দাবি জানিয়েছেন।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পানিতে নিমজ্জিত বিদ্যালয় পরিদর্শণ করেছেন ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা বেগম ও মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিটলার গোলদার।

বিদ্যালয়টিতে পড়তে আসা কয়েককজন শিক্ষার্থী জানান, স্কুলে প্রবেশর রাস্তায় হাঁটুর উপর পর্যন্ত পানি থাকে। কখনো কখনো প্যান্ট গুটিয়ে স্কুলে প্রবেশের সময় পানিতে তলিয়ে থাকা ভাঙা রাস্তার খানাখন্দে পরে জামা কাপড় ও বইপত্র ভিজে যায়।

অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সাজিদ হাসান বলেন, ‘জমে থাকা পানি ভেঙে স্কুলে প্রবেশ করার পর অনবরত পা চুলকায়।  পানিতে ভেজা থাকায় মশাও কামড়াতে থাকে। জলাবদ্ধতার জন্য আমাদের খুব অসুবিধা হচ্ছে। আমরা চাই ভবিষ্যতে যাতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে পানি না জমে সেই ব্যবস্থা করা।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, কিছু প্রভাবশালী মানুষ ঘের তৈরী করার সময় নদীতে বৃষ্টির পানি নামার ব্যবস্থা না রেখেই বাঁধ দিয়েছে। ফলে স্কুলের পথসহ আশেপাশের বাগান, বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। বিষয়টি সবার সামনে ঘটলেও কোন প্রতিকার নেই।

 মূলঘর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুন্সি শাহরিয়ার হাসান বলেন, ‘বিদ্যালয়ে ৩২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রায় দেড়মাস ধরে বিদ্যালয়ে আসার পুরানো ভাঙা রাস্তাটি সম্পূর্ণ পানির নিচে রয়েছে। শিক্ষার্থীরা অনেক ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসছে। অতিদ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন।’

মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিটলার গোলদার বলেন, ‘বিদ্যালয়ে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি স্থায়ী ড্রেন তৈরি করার প্রক্রিয়া চলছে।’

ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা বেগম বলেন, ‘পানির জমে থাকার বিষয়টি শুনে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ী সমাধানের জন্য বলা হয়েছে। আশা করি দ্রুত সময়ের শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘব হবে।

টুটুল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়