ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘২৪ ঘণ্টা চলতে হয় নাক-মুখ বন্ধ করে’

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩৭, ২৭ নভেম্বর ২০২১   আপডেট: ১৯:৫৪, ২৭ নভেম্বর ২০২১
‘২৪ ঘণ্টা চলতে হয় নাক-মুখ বন্ধ করে’

সাতক্ষীরা পৌরসভায় বর্জ্য ফেলার ডাম্পিং স্টেশন না-থাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যত্রতত্র ময়লা ফেলায় বাড়ছে পরিবেশ দূষণ, একইসঙ্গে বাড়ছে পৌরসভার ২ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি।

গত ২৪ নভেম্বর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের ছয়ঘরিয়া ও বিনেরপোতা এলাকা ঘুর এ চিত্র দেখা গেছে।

যদিও সাতক্ষীরা পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, ডাম্পিং স্টেশন তৈরির প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী দু’তিন বছরের মধ্যেই এর সুফল পাবে পৌরবাসী। কিন্তু তাতে স্থানীয়দের ভরসা মিলছে না। কেননা সাতক্ষীরা প্রথম শ্রেণির পৌরসভা শুধু নয়, পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, এটি বাংলাদেশের প্রথম পৌরসভা। ১৮৬৯ সালে স্থাপিত এই পৌরসভায় এখনও কেনো ডাম্পিং স্টেশন নেই- এ প্রশ্ন তাদের।

স্থানয়ীদের অভিযোগ, সাতক্ষীরা-যশোর সড়কের ছয়ঘরিয়া প্রধান সড়কের পাশে পৌর কর্তৃপক্ষ নিয়মিত ময়লা ফেলায় জায়গাটি ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দুর্গন্ধে সেদিকে যাওয়া যায় না। অন্যদিকে বর্জ্য ফেলার পরিবেশবান্ধব কোনো পদ্ধতিও অনুসরণ করা হচ্ছে না। উল্লিখিত এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম, রহমান সরদার, মিজানুর রহমান, আব্দুস সাত্তার গাজী জানান, চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে শিশুসহ এলাকার সাধারণ মানুষ। ২৪ ঘণ্টা তাদের নাক-মুখ বন্ধ করে চলাচল করতে হয়।

একই অবস্থা সাতক্ষীরা ও তালা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা বিনেরপোতায়। এখানে পৌরসভার নিজস্ব জায়গায় প্রতিদিন ময়লা ফেলা হচ্ছে। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজা খাতুন, রহিমা বেগম, মিজানসহ অনেকে জানান, পৌরসভার ময়লা-আবর্জনার সঙ্গে মৃত প্রাণীর দেহ পচে পরিবেশ দুর্গন্ধে ভারি হয়ে ওঠে। নাক চেপে রেখেও রেহাই মেলে না। এ অবস্থা থেকে বাঁচতে অনেকে এলাকা থেকে চলে গেছেন বলেও জানান তারা।

সাতক্ষীরা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম জানান, পৌরসভাগুলো চলছে একেবারে সনাতন পদ্ধতিতে। তাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিক করতে হবে। এর বিকল্প নেই। পৌর কর্তৃপক্ষ ময়লা এক জায়গায় স্তূপ করে রাখছে। এটি দীর্ঘ মেয়াদি সমস্যা সৃষ্টি করছে।

এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতী জানান, একটি ডাম্পিং স্টেশন তৈরির প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী দু’তিন বছরের মধ্যে এই ময়লা-আবর্জনা থেকে গ্যাস উৎপাদন হবে। তখন এ সমস্যা অনেকটাই কেটে যাবে।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির জানান, সাতক্ষীরা পৌরসভার ড্রেনেজ ও সুয়ারেজ সিস্টেম নেই বললেই চলে। ডাম্পিং স্টেশনের জায়গা খোঁজা হচ্ছে। আশাকরি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।  
 

শাহীন গোলদার/তারা 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়