‘১৪ ঘণ্টা হয়ে গেলো, ফেরিতে উঠবো কখন?’
রাজবাড়ী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
‘গত রাত ১২টায় আসছি। প্রায় ১৪ ঘণ্টা ঘাটে বসে আছি। ফেরিতে উঠবো কখন? আজ কি ঢাকায় যেতে পারবো নে?’
এভাবেই উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে জানতে চাচ্ছিলেন মোজাম্মেল। সাকুরা পরিবহনের একটি বাসে বরিশাল থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে আটকে গেছেন তিনি। তার সঙ্গে স্ত্রী ও ছোট বোন রয়েছেন। ঈদ শেষে রাজধানীতে ফেরার পথে সবাই মিলে পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
একইভাবে ঘাটে আটকে গেছেন এসপি গোল্ডেন লাইনের যাত্রী সুলতানা লাবনী। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সাতক্ষীরা থেকে আসছি গত রাত ৩টার সময়। এখনো ফেরি ঘাট থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে বসে আছি। একে তো গরম, এই গরমের মধ্যে বাসে বসে থাকা খুব কষ্ট!’
দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় শৌচাগার নেই বলেও অভিযোগ করেন লাবনী।
গোল্ডেন লাইনের যাত্রী শিহাব মাহমুদ একই অভিযোগ করে বলেন, ‘গতরাতে রওনা দিয়েছি। আজ সকালে অফিস ছিল। ভাবছিলাম সকালে ঢাকা ফিরে অফিস করবো। কিন্তু এখনো ঘাটেই বসে আছি!’
শিহাবের মতো দৌলতদিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের কেউই জানেন না এই অপেক্ষার শেষ কখন হবে। বেলা যতো বাড়ছে তত দীর্ঘ হচ্ছে যানবাহনের সারি। যাত্রীদের ভোগান্তিও তত বাড়ছে।
এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার যানজট রয়েছে। এ ছাড়াও ব্যাক্তিগত গাড়িরও চাপ রয়েছে ঘাটে। মোটরবাইকের সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো। তারা প্রত্যেকেই রাজধানীতে ফিরতে নদী পারাপারের জন্য ফেরির অপেক্ষায় রয়েছেন।
বিআইডাব্লিউটিসি দৌলতদিয়া শাখার সহাকরী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ‘ফেরি ২১টিই চলাচল করছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাপ স্বাভাবিক হয়ে আসবে। কিছুটা সময় গেলেই দেখবেন যানজট আর নেই!’
এদিকে ফেরি থেকে নামা গাড়ি এবং ফেরিঘাটের দিকে আসা গাড়ির চাপের ফলে উভমুখী জটের সৃষ্টি হয়েছে। সেই যানজটও দীর্ঘ হয়েছে এক থেকে দেড় কিলোমিটার। ফলে ফেরি থেকে নেমেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
সুকান্ত/তারা
আরো পড়ুন