ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

শিক্ষকদের মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

পাবনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২০, ২৯ মে ২০২২   আপডেট: ১২:৪৭, ২৯ মে ২০২২
শিক্ষকদের মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আন্তঃবার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে দাওয়াত না পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে দুই শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৮ মে) মধ্যরাতে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

রোববার (২৯ মে) সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মাদারবাড়িয়া গ্রামের মাসুদ রানা ছোটন (২৮) ও শাহাদাত হোসেন (৩২)। তারা দুইজনই অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনোয়ার খান মিঠুর লোক বলে জানা গেছে। 

আরো পড়ুন: দাওয়াত না পেয়ে শিক্ষক পেটালেন চেয়ারম্যান!

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ‘মারধরের ঘটনায় শনিবার রাতেই খানমরিচ ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার খান মিঠুসহ ৯ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান। মামলার পরই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’ 

উল্লেখ্য, খানমরিচ ইউনিয়নের ২৮টি বিদ্যালয়কে দুটি ভাগে ভাগ করে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে শনিবার ইউনিয়নের চন্ডিপুর খেলার মাঠে ১৪টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশে বাইরের অতিথিদের আমন্ত্রণ না জানিয়ে বিদ্যালয়ের প্রবীণ প্রধান শিক্ষকরা সকাল ৯টায় এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

এদিকে, ওইদিন সকাল সোয়া ১০টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার খান মিঠু এই অনুষ্ঠানে এসে দাওয়াত না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সে সময় শিক্ষকরা তাকে বসতে বললেও তিনি চলে যান। কিছুক্ষণ পর শিক্ষা কর্মকর্তার পরামর্শে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে প্রধান শিক্ষকরা খেলার মাঠের পাশে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মনোয়ার খানের নির্দেশে তৌকির, মাসুদ ও আবুল কালামসহ কয়েকজন যুবক বাঁশের লাঠি দিয়ে দাসমরিচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানকে (৫৭) বেধড়ক পেটায়। এ সময় অন্য শিক্ষকরা দৌঁড়ে নিজেদের রক্ষা করেন। 

পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তৌকির, মাসুদ ও আবুল কালামসহ প্রায় ১৫ জন যুবক লাঠিসোটা নিয়ে মাঠে থাকা শিক্ষকদের ওপর হামলা চালিয়ে মঞ্চ ভাঙচুর করে। এই হামলায় চন্ডিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খাতুনসহ কয়েকজন শিক্ষক আহত হন। এর পরপরই মাঠ থেকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা চলে গেলে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়।

সুলতানপুর বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাসিনুজ্জামান স্বপন বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করেই প্রাতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। প্রথমদিনের অনুষ্ঠানে বিশেষ ব্যক্তিদের দাওয়াত করা হয়নি। চেয়ারম্যানকে আগামী ৩০ তারিখ প্রতিযোগিতার ফাইনালের দিনে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি শিক্ষকদের ওপর হামলা করে কাজটা ঠিক করেননি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টি জানার পরেই থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। 

শাহীন/ মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়