ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ধসে পড়া সেতুটি নিজ খরচে ভাঙবে ঠিকাদার

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২০, ২১ জুন ২০২২   আপডেট: ১৯:৩৬, ২১ জুন ২০২২
ধসে পড়া সেতুটি নিজ খরচে ভাঙবে ঠিকাদার

টাঙ্গাইল শহরের বেড়াডোমা এলাকায় লৌহজং নদীর উপরে ধসে পড়া নির্মাণাধীন সেতুটি ঠিকাদারকে নিজ খরচে পুরোটা ভেঙে নতুন করে নির্মাণ  কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (২১ জুন) সকাল ১১টায় ধসে পড়া সেতু পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক একেএম রশিদ আহম্মদসহ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। 

আরো পড়ুন:

ধসে পড়া সেতুর ৫৫ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ায় কয়েক ধাপে ৬০ শতাংশ বিল পরিশোধ করা হয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। তবে সেতুটি পুনরায় সম্পন্ন শেষ হওয়ার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বাকি বিল পরিশোধ করা হবে।

পৌরসভা সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের আওতায় টাঙ্গাইল পৌরসভা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। ৮ মিটার প্রশস্ত ও ৪০ মিটার দীর্ঘ সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার ৮৪১ দশমিক ৩৩ টাকা। ঢাকার ব্রিক্সস এন্ড ব্রিজ লিমিটেড এবং দি নির্মিতি নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজটি নির্মাণের দায়িত্ব পায়। ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সেতু নির্মাণের চুক্তি হয়। কিন্তু টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিরুল ইসলাম খান ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মো. জামিলুর রহমান খানের নেতৃত্বে স্থানীয় ১০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী কাজটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নিয়ে নেন। পরে তারা এটি বাস্তবায়ন শুরু করেন।

সেতু নির্মাণের তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রকৌশলীরা জানান, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তারা যেমন মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাজটি নিয়ে নেন, ঠিক তেমনিভাবে সেতু নির্মাণ কাজেও ছিল অনেক অবহেলা। তাদের মৌখিক ও লিখিতভাবে একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হলেও তারা তা মানেননি। নির্মাণের বিভিন্ন স্তরে দরপত্রে উল্লেখিত নির্দেশনা মোতাবেক কাজ না করে নিজেদের খেয়ালখুশি মতো কাজ করেন। 

ব্রিক্সস এন্ড ব্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মোস্তফা মুহাম্মদ মাসুদ জানান, তারা এবার নিজেদের তত্ত্বাবধানে সেতুটি পুনরায় নির্মাণ করবেন। তাদের সঙ্গে টাঙ্গাইলের ঠিকাদাররাও থাকবে। তবে সব কিছু তিনি দেখাশোনা করবেন। 

তিনি আরও জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি ভেঙে পুনরায় নির্মাণ শুরু করা হবে। কর্তৃপক্ষ যদি এ বিষয়ে অঙ্গীকারনামা চান তাহলে তাই দেওয়া হবে। আর সেতুটি পুনরায় নির্মাণ কাজ করার সময় দরপত্রে উল্লেখিত সকল শর্ত মেনে কাজ করা হবে।

টাঙ্গাইল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শিব্বির আহমেদ আজমী জানান, ধসে পড়া সেতুটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হবে। তবে সেতুটি ভেঙে ফেলতে সকল ব্যয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বহন করবে। সব নির্দেশনা মেনে সেতুটি যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করে, সেজন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে অঙ্গীকারনামা নেওয়া হবে। 
 

কাওছার/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়