ঢাকা     সোমবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

তিন দশকেও সংস্কার হয়নি পেঁচাছড়া সেতুর 

সিলেট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৮, ৮ আগস্ট ২০২২   আপডেট: ১০:৩১, ৮ আগস্ট ২০২২
তিন দশকেও সংস্কার হয়নি পেঁচাছড়া সেতুর 

পেঁচাছড়া সেতু

তিন দশকেও সংস্কার করা হয়নি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের লামাগ্রামের পেঁচাছড়া খালের ওপর নির্মিত সেতুটির। সেতুটির দুই পাশে নেই কোনো রেলিং। পিলারগুলো নড়বড়ে। একপাশে ভেঙে যাওয়া অংশে যুক্ত হয়েছে বাঁশের সাঁকো। এপ্রোচ সড়কের মাটিও সরে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন পাঁচ গ্রামের মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উঁচু পাহাড় থেকে প্রবাহিত পেঁচাছড়া খালটি লামাগ্রামকে পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে ভাগ করেছে। ১৯৯১ সালে অবিভক্ত রনিখাই ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান মরহুম এম. তৈয়বুর রহমান সেতুটি নির্মাণ করেন৷ নির্মিত সেতুটি গ্রামের দুই পাড়ের মানুষের মেলবন্ধন ঘটায়। 

আরো পড়ুন:

লামাগ্রাম ছাড়াও তুরং, দমদমা, কামালবস্তি ও খাসেরবস্তি গ্রামগুলো সরাসরি যোগাযোগের আওতায় আসে এই সেতুর মাধ্যমে। কিন্তু নির্মাণের কয়েক বছর পর পাহাড়ি ঢলে সেতুটি ভেঙে যায়। এলাকাবাসী সেতুর সঙ্গে বাঁশের সাঁকো জোড়াতালি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে অনেকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন জানিয়েও কোনো ফল পাননি এলাকাবাসী।

লামাগ্রামের বাসিন্দা মাওলানা আশরাফুল হাসান জানান, দীর্ঘদিনেও সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নিরুপায় হয়ে এলাকাবাসী সেতুর সঙ্গে বাঁশের সাঁকোর সংযোগ ঘটিয়ে চলাচলের উপযোগী করেন। বিশেষ করে এলাকার শিক্ষার্থীরা এই ভাঙা সেতু পার হয়েই স্কুলে যায়। শুষ্ক মৌসুমে সেতুর নিচ দিয়ে যাওয়া গেলেও বর্ষায় ঝুঁকি নিয়েই পার হতে হয় সেতুটি।

উত্তর রনিখাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার ফয়জুর রহমান বলেন, ‘জনস্বার্থে জরাজীর্ণ এই সেতুটি পুনরায় নির্মাণ করা প্রয়োজন। বিষয়টি উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হবে।’

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী শাহ আলম বলেন, ‘আপতত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পাকা রাস্তাগুলোর কাজ শুরু হচ্ছে। ওই সেতুটি যেহেতু কাঁচা রাস্তায় পড়েছে। এটি আমাদের কার্যক্রমের আওতায় নেই। পরবর্তীতে কোনো প্রকল্পের মাধ্যমে সেতুর কাজ করা যেতে পারে।’

নূর আহমদ/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়