ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

খুলনায় ভুয়া চিকিৎসক ও গুড় বিক্রেতাকে দণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৭, ১৭ আগস্ট ২০২২  
খুলনায় ভুয়া চিকিৎসক ও গুড় বিক্রেতাকে দণ্ড

বিএমডিসির সনদ ব্যাতীত ডাক্তার উল্লেখ করা (মিথ্যা বিজ্ঞাপন), মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণের দায়ে বিএম আলম নামের এক ভুয়া চিকিৎসককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া ভেজাল গুড় উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের অভিযোগে মো. আকবর আলীকে (২৮) তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ আগস্ট) খুলনা জেলা প্রশাসন এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পৃথক অভিযান চালিয়ে এ জেল ও জরিমানা করেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নগরীর দৌলতপুরস্থ দেয়ানা মুকুল ভান্ডার এলাকার বাসিন্দা আকবর আলী নিজ বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল গুড়ের কারখানা চালাচ্ছিলেন। বিষাক্ত ক্যামিক্যাল, খাবার অনুপযোগী রং ব্যবহার করে তিনি ওই কারখানায় গুড় তৈরি করছিলেন। গোপন খবরের ভিত্তিতে বুধবার সকাল ১০টার দিকে খুলনা জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অপ্রতিম কুমার চক্রবর্ত্তী’র নেতৃত্বে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ভেজাল গুড় তৈরির বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় আকবর আলীকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন বিচারক। এছাড়া জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী শেখ মো. নাজমুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আকবর আলী ভেজাল খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯-এর ৪৩ ধারায় অপরাধ করেছে। বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। 

অপরদিকে, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা জেলা কার্যালয় দুপুরে দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ও বাজারে তদারকি করে। এ সময় স্থানীয় পথের বাজার এলাকায় বিএমডিসির সনদ ব্যতীত ডাক্তার উল্লেখ করা (মিথ্যা বিজ্ঞাপন) ও প্রচুর পরিমাণ মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ করায় মেসার্স আলেয়া মেডিক্যাল ফার্মেসির মালিক বিএম আলমকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম। 

শাহীনুর আলম বলেন, ‘বিএমডিসির সনদ ব্যতীত ডাক্তার উল্লেখ করা বেআইনী। এছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করাও আইনসম্মত নয়। এ কারণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুসারে বিএম আলমকে জরিমানা করা হয়।

নূরুজ্জামান/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়