পানি বাড়ছে পদ্মায়
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

উজানের ঢলের কারণে গত তিনদিন ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা নদীতে পানি বাড়ছে। ইতোমধ্যে নদী পাড়ের অনেক এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এছাড়া পানি বৃদ্ধি এবং বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে সামনের দিনগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিন থেকেই পদ্মায় ক্রমশই পানি বাড়ছে। গত দুদিনে পানি বেড়েছে দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার। রোবাবর (৪ সেপ্টেম্বর) পদ্মায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে ২১ দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের একটি ইউনিয়ন ও শিবগঞ্জ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের রাস্তা, ডোবা নালা ইতোমধ্যে নদীর পানিতে ডুবে গেছে। বিশেষ করে শিবগঞ্জের দুর্ভলপুরের নামো জগন্নাথপুরের কিছু রাস্তা ডুবে যাওয়ায় ভোগান্তি বেড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারের।
নামো জগন্নাথপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মোমিন বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর সঙ্গে পদ্মা নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। কিছু কিছু এলাকায় নদীর পানি উপচে উঠায় আবাদি জমি ডুবে গেছে।’
সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মাবুদ বলেন, ‘পদ্মা নদীর পানি উপচে এলাকার কিছু আবাদি জমি ডুবে গেছে।’
পাঁকা ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘বন্যায় সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাকাঁ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল।মানুষের ঘরে পানি ঢুকে যায়। বন্যায় বিষাক্ত সাপ পোকা মাকড়ের ভয়ে দিন পার করে এখানকার মানুষরা। এখন পাঁকার কদমতলা মোড় ডুবে গেছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘পদ্মা নদীতে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ নদীর বিপৎসীমা ২২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। এছাড়াও জেলার মহানন্দা আর পূর্ণভবা নদীতে দিনদিন পানি বাড়ছে।’
গত বছর এ জেলায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষ মাস খানেক ধরে পানিতে বন্দি হয়ে জীবন যাপন করেছেন।সে সময়ে বিষাক্ত সাপের কামড়ে অন্তত ৫জন মানুষ মারা গেছে।বিগত বছরে পানিবন্দি মানুষদের জন্য খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
এ বছরে কত টন খাদ্য বরাদ্দ হয়েছে জানার জন্য জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পূর্ণবাসন শাখার দায়িত্বে থাকা সহকারি কমিশনার তৌফিক আজিজের সঙ্গে মুঠোফনে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি। সাংবাদিক পরিচয়ে খুদেবার্তা পাঠালেও সাড়া দেননি ত্রাণ ও পূর্ণবাসন শাখার কর্মকর্তা।
মেহেদী/ মাসুদ
আরো পড়ুন