ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

রংপুরের মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে রংতুলির কাজ

রংপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৬, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২   আপডেট: ১১:১৮, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
রংপুরের মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে রংতুলির কাজ

রঙের মাধ্যমে দেবী দুর্গার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পীরা

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গোৎসবের রঙ ছড়িয়ে দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পের দক্ষ কারিগররা। তাদের হাতের নিপুণ ছোঁয়া আর শেষ মুহূর্তে রং তুলির আঁচড়ে প্রাণবন্ত হয়ে উঠতে শুরু করেছে একেকটি প্রতিমা। মাটির তৈরি শৈল্পিক কারুকার্যের অলঙ্কারে ফুটে উঠছে দেবী দুর্গার সৌন্দর্য।

আগামী শনিবার (১ অক্টোবর) মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে বৃহৎ এই দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। এ জন্য প্রতিমা সাজাতে কোনো কমতি রাখা হচ্ছে না। আর তাই দেবী দুর্গার আগমনে দম ফেলানোর ফুসরত নেই মৃৎশিল্পীদের।

এদিকে প্রকৃতির চারপাশ জুড়ে মৃদু হাওয়ায় গা ভাসিয়ে দোল খাচ্ছে কাশফুল। কাশবনের উচ্ছলতাই জানিয়ে দিয়েছে দুর্গার আগমনী বার্তা। এ বছর দেবী গজে (হাতি) চড়ে পৃথিবীতে আসবেন। কৈলাশে ফিরবেন নৌকায়।

রংপুর জেলায় গত বছরের চেয়ে পূজা মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। রংপুর মহানগরসহ জেলার আটটি উপজেলা ৯৩৫টি মণ্ডপে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। 

রংপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সূত্র মতে, এ বছর রংপুর জেলায় ৯৩৫টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। এর মধ্যে মহানগরে রয়েছে ১৫৮টি মণ্ডপ। যা গতবছরের চেয়ে দুইটি বেশি। এবছর ব্যতক্রর্মী আকর্ষণ হিসেবে নগরীর পালপাড়া পূজা মণ্ডপটি পদ্মা সেতুর আদলে সজ্জিত করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন রংপুর মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে নগরীর শ্রী শ্রী করুণাময়ী কালিবাড়ি, ধর্মসভা, গুপ্তপাড়া মন্দির, কলেজ রোড আনন্দময় সেবাশ্রমসহ বিভিন্ন এলাকার মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রং তুলির ছোঁয়ায় প্রতিমার আকর্ষণ বাড়ানোর পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন মণ্ডপ তৈরিতে অঘোষিত প্রতিযোগিতায় নেমেছে অনেকে।

পালপাড়ায় একটি মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ করা মৃৎশিল্পী শ্যামল দত্ত বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিমা তৈরির কাজ একটু বেশি। দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এ মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ করছি। প্রতিমা দৃষ্টিনন্দন করতে দিনরাত কাজ হচ্ছে। এখন রঙ তুলির আঁচড়ে সাজানো হচ্ছে।’

উৎসবের প্রস্তুতি সম্পর্কে রংপুর মহানগর দুর্গা উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস ঘোষ বলেন, ‘প্রতিমা নির্মাণ শিল্পীরা রাতভর পরিশ্রম করছেন। এবারের পূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি আনসার, কমিউনিটি পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে পুলিশ, বাহিনীর সদস্যরা।’

রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, ‘রংপুর জেলা ও মহানগর এলাকায় প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। এবারে যে যে স্থানে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে সেইসব স্থানগুলোতে জেলা প্রসাশন ও পুলিশ প্রসাশনের সমন্বয়ে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি মন্ডপে সিসিটিভির ব্যবস্থার কাজও চলছে।’

আমিরুল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়