ট্রেন ও প্রাইভেট গাড়িতে খুলনায় যাচ্ছেন কুষ্টিয়ার যাত্রীরা

কুষ্টিয়া বাস টার্মিনাল থেকে খুলনাগামী কোনো যাত্রীবাহী বাস চলাচল না করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। হঠাৎ করে বাস বন্ধের ফলে অনেকেই কাউন্টারে এসে ফিরে গেছেন। তবে বিকল্প পথ ট্রেন ও প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া নিয়ে অনেককেই খুলনার দিকে রওনা হতে দেখা গেছে। 

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া-খুলনা রুটে বাস চলাচল বন্ধ বলে নিশ্চিত করেন কুষ্টিয়া জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহাবুল ইসলাম।

মাহাবুল ইসলাম জানান, খুলনায়  জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে শুক্রবার ও শনিবার বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার কারণে খুলনা রুটে বাস চলাচল বন্ধ। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও মহাসড়কে নসিমন, করিমন, মাহিন্দ্রা, ইজিবাইকসহ তিন চাকার অবৈধ যানবাহন চলাচলের প্রতিবাদে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। কুষ্টিয়া বাস কাউন্টারে এসে খুলনায় উদ্যোশ্যে যাওয়া যাত্রীরা অনেকেই ফিরে গেছেন।

তানিয়া খাতুন নামের এক যাত্রী জানান, হুট করে এমন বাস বন্ধের ফেলে টার্মিনালে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে। কদিন পরপরই বাস মালিক সমিতি বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে এমন ধর্মঘট করার কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হয় ।  

রফিকুল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী জানান, বাস বন্ধ থাকায় ট্রেনে যেতে হবে। তাই টার্মিনাল থেকে ষ্টেশনে যাচ্ছি ট্রেনে খুলনায় যাওয়ার জন্য।

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘কেন্দ্র ঘোষিত বিএনপির খুলনা মহানগরের সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। যাতে আমাদের নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে পৌঁছাতে না পারে এজন্য বাস বন্ধ রেখেছেন পরিবহন নেতারা। এটা সরকারে একটা চক্রান্ত। এছাড়া রাতে আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ গিয়ে হয়রানিসহ কয়েকজনকে আটক করেছে। তারপরেও আমরা গণসমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য যাচ্ছি।’

তিনি আরো অভিযোগ করেন, ‘সরকার আমাদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।’

জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী রুমী জানান, ‘খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ অংশ নেওয়ার জন্য আমাদের নেতাকর্মীরা বাসের পরিবর্তে ট্রেন, প্রাইভেট কার, ট্রাক, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে খুলনার দিকে যাচ্ছেন। সরকার বাস বন্ধ রেখে আমাদের নেতাকর্মীদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না।