ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

আমদানিকারকের মামলায় মোংলা বন্দরে আটকা ২ জাহাজ

বাগেরহাট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫০, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ১৮:১৫, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আমদানিকারকের মামলায় মোংলা বন্দরে আটকা ২ জাহাজ

কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জয়েন্ট ট্রেডিং কর্পোরেশনের মামলায় মোংলা বন্দরে আটকে আছে পানামা পতাকাবাহী দুটি জাহাজ। আদালতের নির্দেশনার কারণে জাহাজ দুটিকে বন্দর ত্যাগ করার অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ।

জাহাজ দুটি হলো- ‘এমভি সানবাল্ক’ ও ‘এমভি ইউনিভার্সি প্রোসটার্টি’। এর মধ্যে, এমভি সানবাল্ক জাহাজে থাকা ২৭ হাজার ২৪৩ মেট্রিকটন কয়লা খালাস হলেও এমভি ইউনিভার্সি প্রোসটার্টিতে থাকা ২৪ হাজার মেট্রিকটন কয়লার খালাস প্রক্রিয়াই শুরু হয়নি।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আদালতে মামলার বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাহাজগুলো বন্দরে থাকবে।’

জয়েন্ট ট্রেডিং কর্পোরেশনের মালিক আনিসুর রহমান বলেন, ‘জাহাজের মালিক এবং জাহাজ ভাড়াকারী কোম্পানির দ্বন্দ্বের কারণে আমদানি করা কয়লা নির্ধারিত সময়ে মোংলা বন্দরে আসেনি। এছাড়া জাহাজে থাকা কয়লার গুণগত মান নষ্ট হয়ে গেছে। এ কয়লার বাজারমূল্য কমেছে। ফলে আমাদের প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে আমরা ক্ষতিপূরণ চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছি। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।’

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ‘এমভি সানবাল্ক’ নামে জাহাজটি ২৭ হাজার ২৪৩ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে ৭ জানুয়ারি বন্দরের হারবাড়িয়ায় নোঙর করেছে। পরে কয়লাগুলো পুরোপুরি খালাস করা হয়েছে। ‘এমভি ইউনিভার্সি প্রোসটার্টি’ জাহাজটি ২৪ হাজার মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে ২৫ জানুয়ারি বন্দরে ভিড়লেও মামলা জটিলতায় খালাস শুরু হয়নি।

বিদেশি জাহাজ দুটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স কসমসের খুলনার ব্যবস্থাপক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এমভি সানবাল্ক জাহাজে আসা ২৭ হাজার ২৪৩ মেট্রিকটন কয়লা পুরোপুরি খালাস করা হয়েছে। কিন্তু মামলার কারণে এমভি ইউনিভার্সি প্রোসটার্টি জাহাজে থাকা কয়লার খালাস প্রক্রিয়াই শুরু হয়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘গত ৪ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার একটি বন্দরে কয়লা আনতে যায় জাহাজ দুটি। কিন্তু এর মধ্যে জাহাজ মালিক ও জাহাজ ভাড়াকারী কোম্পানির (চার্টারার) মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় দেড় মাস পরে ওই বন্দর থেকে কয়লাবোঝাই করে জাহাজগুলো মোংলা বন্দরে আসে। এতে কয়লা আমদানিকারকরা ক্ষতির মুখে পড়েন।’

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ বলেন, ‘জাহাজ দুটির ব্যাপারে গত ৬ ফেব্রুয়ারি আদালতের একটি নির্দেশনা আসে। আমরা আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জাহাজ দুটিকে বন্দরে অবস্থান করতে বলেছি। তাদের বন্দর ত্যাগের অনুমতি প্রদান করা হয়নি। আদালতের পক্ষ থেকে নির্দেশনা পেলে জাহাজ দুটিকে বন্দর ত্যাগের অনুমতি প্রদান করব।’

টুটুল/কেআই

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়