ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

হবিগঞ্জে বাঁধাকপি চাষে সফলতা

মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫৭, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  
হবিগঞ্জে বাঁধাকপি চাষে সফলতা

শীতের সবজি বাঁধাকপি। হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার হাফিজপুর গ্রামে নিজ বাড়ির পাশে বাঁধাকপির চাষ করেছেন কৃষক আব্দুস ছালাম। গত নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রায় ২২ শতক জমিতে বাঁধাকপির উন্নতজাতের চারা রোপণ করেন। এতে তিনি ভালো লাভ করেছেন।  

উপজেলার দ্বিমুড়া ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার মোঃ শামিমুল হক শামীমের পরামর্শে কঠোর শ্রম দেন কৃষক আব্দুস ছালাম। জমিতে প্রয়োগ করেন গোবর ও কিছু পরিমাণে সার। পোকা দমনে ব্যবহার করেন ফেরোমন ও হলুদ ফাঁদ। এতে বাঁধাকপির প্রচুর ফলন হয়। 

কপি চাষে ওই কৃষকের প্রায় ১০ হাজার টাকা খচর হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনি বিক্রি করেছেন প্রায় ৬০ হাজার টাকা। বাকি সময়ে আরও প্রায় ১০ হাজার টাকার বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হাফিজপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে কৃষক আব্দুস ছালাম বারো মাসব্যাপী সবজি ও ধান চাষ করেন। 

সরেজমিন গেলে এ সব তথ্য জানিয়ে কৃষক আব্দুস ছালাম বলেন, কঠোর শ্রমে শরীর ভালো থাকে। কাজে সফলতা আসে। বসে থাকলে চলবে না। কাজ করে যেতে হবে। 

স্থানীয় কৃষকরা বলেন, ‘বাঁধাকপি চাষ করে শ্রম দিতে হয়। রোপণের শুরু থেকে জমিতে শ্রম দেন কৃষক আব্দুস ছালাম। তার শ্রমের কারণে কপির ভালো হয়েছে। তার ন্যায় অনেক কৃষক বাঁধাকপি চাষ করে সফল হয়েছে। আমরও চাষ করতে আগ্রহী। কারণ চাষের সঠিক পরামর্শ পাওয়া যায় এ ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. শামিমুল হক শামীমের কাছ থেকে।’  

উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. শামিমুল হক শামীম বলেন, বাঁধাকপি চাষে কঠোর শ্রম দিয়েছেন কৃষক আব্দুস ছালাম। সরেজমিন এসে আমি তাকে পরামর্শ প্রদান করেছি। এতে তার জমিতে ভালো ফলন হয়েছে। সঠিকভাবে পরিচর্যা করায় জমিতে বিষ প্রয়োগ করতে হয়নি। ওই কৃষক ধানের পাশাপাশি বারো মাস সবজি চাষ করছেন। 

তিনি বলেন, বাঁধাকপি কাঁচা গরু-ছাগল খায়। রান্না করে খায় মানুষ। আর শুকিয়েও রাখা যায়। এর পুষ্টিগুণ কোন পদ্ধতিতে খাওয়া হচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করে। এক কাপ বা ৯০ গ্রাম বাঁধাকপিতে রয়েছে ২২ ক্যালরি শক্তি। প্রোটিন আছে ১ গ্রাম, ফাইবার ২ গ্রাম, আর প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সির ৫৪ শতাংশ, ভিটামিন কের ৮৫ শতাংশ, ফোলেটের ১০ শতাংশ, ম্যাঙ্গানিজের ৭ শতাংশ, ভিটামিন বি সিক্সের ৬ শতাংশ, ক্যালসিয়ামের ৪ শতাংশ, পটাশিয়ামের ৪ শতাংশ ও ম্যাগনেশিয়ামের ৩ শতাংশ মেলে। আধুনিক চিকিৎসায় এই সবুজ গোলাকার সবজিটির প্রবেশ ঘটে ইংরেজদের হাত ধরে। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকে ব্রিটিশরাই সারা বিশ্বে বাঁধাকপির জয়গান গেয়ে বেড়িয়েছে। 
 

/বকুল/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়