রংপুরে স্বস্তির বৃষ্টি 

টানা কয়েকদিনের তাপদাহের পর রংপুরে স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। রোববার (৪ জুন) বিকেল ৪টার পর থেকে রংপুর মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির স্থায়ীত্ব ছিলো ১৫-২০ মিনিট। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, জেলায় ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে, ক্ষণস্থায়ী হলেও দীর্ঘদিন পর বৃষ্টি হওয়ায় প্রাণ ফিরেছে নগরীর প্রাণ প্রকৃতিতে। বৃষ্টির কারণে তীব্র গরম কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও সকালের চেয়ে এদিন বিকেলের তাপমাত্রা বেশি ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন জেলার মতো রংপুরেও মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। বৃষ্টি না থাকায় প্রচণ্ড গরমে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে জনজীবন। অবশেষে রোববার সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এতে খানিকটা সময়ের জন্য হলেও জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসে। 

তাজহাট এলাকার সাগর, দিপ্ত, গালিব বলেন,  ক্ষনিকের বৃষ্টিতে প্রকৃতি শীতল হলো। মনে হচ্ছে তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমেছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুর জেলায় গত ১ জুন এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর দিন ২ জুন তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রির ঘরে। ৩ জুন ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় আগুন ঝরা গরম এবং রাতে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ ছিল মানুষ। এই দুর্ভোগের সঙ্গে যুক্ত হয় লোডশেডিং। যা কষ্টের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আজ রোববার (৪ জুন) সকালে দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭ দশমিক ২ সেলসিয়াস। বিকেল ৪টায় তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। 

রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, রোববার বিকেলে জেলার বিভিন্নস্থানসহ প্রত্যন্ত এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির স্থায়িত্ব ছিল ২০ মিনিট। এ সময় ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতের পাশাপাশি বাতাসের বেগ বেশি ছিল।