ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

লক্ষ্মীপুর-৩ উপনির্বাচন

ভোটকেন্দ্রের খরচ নিয়ে আ.লীগ-ছাত্রলীগ নেতার মারামারি, মামলা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০৩, ৯ নভেম্বর ২০২৩  
ভোটকেন্দ্রের খরচ নিয়ে আ.লীগ-ছাত্রলীগ নেতার মারামারি, মামলা

মোরশেদ আলম সবুজ ও শাহিন আলম

লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের খরচ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মোরশেদ আলম সবুজ ও ছাত্রলীগ নেতা শাহিন আলমের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা সবুজ বাদী হয়ে শাহিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাদী সবুজ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং শাহিন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। বুধবার (৮ নভেম্বর) রাতে পৌর শহরের আশুরা জেনারেল হাসপাতালে দুজনের মধ্যে মারামারি হয়। পরে তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। মামলায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন শাহিনের ছোট ভাই আরজু, রাব্বি ও পাপন। 

সবুজ ও শাহিনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপনির্বাচনে পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের লাহারকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের খরচের জন্য দল থেকে ১ লাখ টাকা দেওয়া হয়। ওই টাকা নিয়ে ৪ নভেম্বর রাত থেকেই নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। শাহিন ওই টাকার হিসাব চাইলে সবুজ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বুধবার রাতে আশুরা জেনারেল হাসপাতালে ডা. জাকির হোসেনের চেম্বারে সবুজ ও শাহিনের মধ্যে কথা কাটিকাটি হয়। একপর্যায়ে দুজনই মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। ডা. জাকিরসহ কয়েকজন তাদেরকে শান্ত করেন। পরে তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। খবর পেয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারী তাদেরকে দেখতে হাসপাতাল যান। 

ছাত্রলীগ নেতা শাহিন আলম বলেছেন, ভোটকেন্দ্রে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার খুঁজে এনেছেন। দল থেকে দেওয়া টাকার হিসেব চাইলে সবুজ মামা আমার শার্টের কলার চেপে ধরে কিল-ঘুসি মারেন। তার ছেলে শাওনকে ডেকে এনে দ্বিতীয় দফায় আমাকে মারধর করেন তিনি। 

আওয়ামী লীগ নেতা মোরশেদ আলম সবুজ বলেন, দল থেকে ভোটকেন্দ্রে খরচের জন্য ১ লাখ টাকা দিয়েছে। সেখান থেকে ছাত্রলীগের জন্য শাহিনকে ২৯ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এরপরও শাহিন টাকা দাবি করে। জাকির ডাক্তারের চেম্বারে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সে আমার গায়ে হাত তোলে। খবর পেয়ে আমার ছেলে শাওন ঘটনাস্থল আসে। পরে শাহিনসহ অভিযুক্তরা আমার ছেলেকেও মারধর করে। 

এ বিষয়ে জানতে ডা. জাকির হোসেনকে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেছেন, সবুজ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।

লিটন/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়