চার পুলিশ হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষ হয়নি ১১ বছরেও
গাইবান্ধা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের মানুষের কাছে ইতিহাসের একটি কলঙ্কিত দিন ২৮ ফেব্রুয়ারি। ২০১৩ সালের এই দিন মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তাণ্ডব চালায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে তারা হামলা চালিয়ে চার পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে। ওই হত্যাকাণ্ডের ১১ হয়ে গেলেও এখনো বিচারকাজ শেষ হয়নি।
তথ্য মতে, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সুন্দরগঞ্জে হরতাল ডাকা হয়েছিল। ওইদিন সকাল থেকে উপজেলার কঞ্চিবাড়ি, বেলকা, দহবন্দ, হরিপুর, বামনডাঙ্গা, সর্বানন্দ, রামজীবন ও ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ, অগ্নিসংযোগ ও হামলা চালায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। সেই হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যসহ মোট পাঁচজন নিহতের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরদিন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের তৎকালীন জামায়াত এমপি মাওলানা আব্দুল আজিজ ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ৮৯ জনের নাম উল্লেখ করে নাম না জানা আড়াই হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন সুন্দরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আবু হানিফ। পরবর্তীতে জামায়তের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল আজীজসহ ২৩৫ জনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এখন পর্যন্ত ৭৪ সাক্ষীর মধ্যে ৩৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।
মামলার প্রধান স্বাক্ষী আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেলসহ স্থানীয়রা জানান, ১১ বছর পেড়িয়ে গেলেও মামলার বিচার কাজ শেষ না হওয়ায় আমরা হতাশ। পুলিশ হত্যার মতো এমন ঘটনার বিচার পেতেও এতো সময় লাগলে সাধারণ মানুষের কী হবে?
গাইবান্ধা জেলা জজ কোর্টের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফারুক আহম্মেদ প্রিন্স রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘মামলার যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করতে আরও কিছু সময় লাগবে। এছাড়া, সব স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়নি। আশা করছি, দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন হবে।’
গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন বলেন, ‘ওই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত শেষ করে মামলটি আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
মাসুম/মাসুদ