ঢাকা     সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

সড়ক মেরামতে অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন করায় উপজেলা প্রকৌশলী বললেন, ‘গেট লস্ট’

শরীয়তপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৬, ২২ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১২:৪৭, ২২ মার্চ ২০২৪
সড়ক মেরামতে অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন করায় উপজেলা প্রকৌশলী বললেন, ‘গেট লস্ট’

সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন উপজেলা প্রকৌশলী নাবিল আহমেদ

সড়ক মেরামতে পুরোনো ও পরিত্যক্ত নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী নাবিল আহমেদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে ডামুড্যা উপজেলার খেজুরতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা জানান, ডামুড্যা উপজেলা এলজিইডির তত্ত্বাবধানে কনেশ্বর ইউনিয়নের খেজুরতলা এলাকায় একটি সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ চলছিল। যেখানে  ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুরোনো ও পরিত্যক্ত নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে আসছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সংবাদ সংগ্রহে ঘটনাস্থলে যান দৈনিক সমকালের শরীয়তপুর প্রতিনিধি সোহাগ খান সুজন, ডেইলি স্টারের জাহিদ হাসান রনি ও বাংলা টিভির নয়ন দাস। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে কার্পেটিংয়ের বিটুমিন মেশানোর জায়গায় পুরাতন সেতুর ভাঙা পাথর দেখতে পান। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিলকে প্রশ্ন করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং একপর্যায়ে সাংবাদিকদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

সোহাগ খান সুজন বলেন, সড়ক মেরামত কাজে অনিয়ম হচ্ছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে কিছু পুরাতন ভাঙা পাথর দেখতে পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিলকে প্রশ্ন করি। এতে তিনি আমাদের ওপর চড়াও হন।

জাহিদ হাসান রনি বলেন, পুরাতন কার্পেটিংয়ের কিছু অংশ মিলিয়ে তারা নতুন রাস্তা করছিল। অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল বলেন, গেট লস্ট। পাল্টা প্রশ্ন করলে তিনি গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকেন। এ সময় তিনি আমাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল বলেন, তারা (সাংবাদিকরা) পুরোনো এবং নতুন মালামাল মিলিয়ে ভিডিও করছিল। তারা কেন এটা করবে? আর আমি তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করিনি বরং তারাই আমাকে লাঞ্ছিত করেছে।

জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাফেউল ইসলাম বলেন, কার্পেটিংয়ে পুরাতন মালামাল নতুন করে বিটুমিনে মেলানোর সুযোগ নেই। রাস্তার পুরোনো কার্পেটিং উঠানোর পরে রোলার দিয়ে তা রাস্তাতেই মিলিয়ে ফেলতে হয়। এটা পাশেও রাখা যাবে না।

সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তার (উপজেলা প্রকৌশলী) সঙ্গে কথা বলব। যদি তিনি দোষ করে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরীন বেগম সেতু বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কেন এমন ব্যবহার করেছেন, তা জানতে চাইব।

আকাশ/কেআই

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়