ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

কবরে শুয়ে বাবার লাশ দাফনে বাধা

নীলফামারী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৮, ২৯ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১৯:২০, ২৯ মার্চ ২০২৪
কবরে শুয়ে বাবার লাশ দাফনে বাধা

জমির দাবিতে কবরে শুয়ে বাবার লাশ দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নের বাটুলটারী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীরা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে মজিবর রহমান (৬৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আজ শুক্রবার সকালে মজিবর রহমানের জন্য বাড়ির পাশের কবরস্থানে কবর খোঁড়া হয়। দাফনের আগে ছেলে নওশাদ আলী জমির দাবিতে বাবার জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন। পরে নতুন কবর খুঁড়ে মজিবর রহমানের লাশ দাফন করা হয়। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহাবুব রহমান বলেন, মারা যাওয়া মজিবর রহমানের প্রথম স্ত্রীর ৪ ছেলে এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। প্রায় ৮ বছর আগে মজিবর রহমান প্রথম স্ত্রীর তিন ছেলের কাছে তিন শতক জমি বিক্রি করেন। তবে, সেই জমি রেজিস্ট্রি  হয়নি ওই সময়। মজিবর রহমানের মোট ১০ শতক জমি ছিল। তার মধ্যে ২ শতক তার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং তার ছেলেকে ৫ শতকসহ মোট ৭ শতক লিখে দেন। ৩ শতক জমি তিনি রেখে দেন। মজিবর রহমান ও তার ছেলে নওশাদ আলীর মধ্যে গত ৬ বছর আগে গন্ডগোল হয়। তখন থেকে বাবা-ছেলের মধ্যে কথা বন্ধ ছিল। মজিবর রহমান গত ৫/৬ বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন।

গতকাল সন্ধ্যায় মজিবর রহমান নীলফামারী হাসপাতালে মারা যান। আজ সকাল ১০টার দিকে তার দাফন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নওশাদ জমির দাবিতে তার বাবার দাফনের জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন। তিনি কবরে প্রায় ১৫ হতে ২০ মিনিটের মতো শুয়ে ছিলেন। এরপর পুলিশ আসলে তিনি কবর থেকে উঠে আসেন। এরপর পাশেই নতুন করে কবর খুঁড়ে মজিবর রহমানের লাশ দাফন করা হয়। মজিবর রহমানের অন্য ছেলেরা জমির দাবি করেননি। বরং তারা নওশাদকে কবর থেকে উঠার জন্য বারবার অনুরোধ করছিলেন।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ওই ছেলে কবর থেকে উঠে পালিয়ে যায়। পরে পাশেই নতুন করে কবর খুঁড়ে লাশ দাফন করা হয়েছে। 

সিথুন/মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়