ঢাকা     রোববার   ১৬ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ২ ১৪৩১

বিজয়ী চেয়ারম্যানকে ফুলের মালা পরিয়ে আলোচনায় ওসি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৩৮, ২৩ মে ২০২৪   আপডেট: ০৯:৪৪, ২৩ মে ২০২৪
বিজয়ী চেয়ারম্যানকে ফুলের মালা পরিয়ে আলোচনায় ওসি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী বুলবুল আহমেদ চৌধুরীকে ফুলের মালা পরিয়ে আলোচনায় দৌলতপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম। 

বিজয়ী বুলবুল আহমেদ চৌধুরী কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর ছোট ভাই।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে উপজেলা পরিষদে একটি কক্ষে বিজয়ী চেয়ারম্যানকে ফুলের মালা পরিয়ে শুভেচ্ছা জানান ওসি রফিকুল ইসলাম। যার একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ছবিতে দেখা যায়, ওসি হাসিমুখ নিয়ে নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে ফুলের মালা পরাচ্ছেন। এ সময় পাশে ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের। বিজয়ী প্রার্থীকে ফুলের মালা পরানোর এ ছবি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মন্তব্য করেন, এ ঘটনায় অনেক কিছু বোঝা যায়। যেহেতু এই উপজেলা নির্বাচনে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিসুর রহমান কেন্দ্র দখল, এজেন্টদের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া এবং প্রশাসনের নীরব ভূমিকার অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন। সেহেতু অভিযুক্ত প্রার্থী জয়ী হওয়ার পরপরই ওসির এমন কাণ্ড প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন এসেই যায়।

নির্বাচনে বিজয়ী দৌলতপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ চৌধুরী আনারস প্রতীকে ৯৭ হাজার ২৮৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান ঘোড়া প্রতীকে ৫ হাজার ৩৮৬ ভোট পেয়েছেন। 

পরাজিত এই প্রার্থী বলেন, পুলিশের ইউনিফর্ম পরে ওসি সাহেব বিজয়ী প্রার্থীর গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দিয়েছেন। নির্বাচনের সময় পুলিশের ওই কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। আমি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। ভোটের দিন দুপুর আড়াইটার দিকে আমি ভোট বর্জন করেছি।

ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, যদি কেউ নির্বাচিত হয়ে যান, তাহলে নিরপেক্ষতার আর কী থাকে? তার সঙ্গে তো আমাদের চলতে হবে। 

উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। 

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, পোশাক পরা অবস্থায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা কোনো অবস্থাতেই একজন নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধির গলায় ফুলের মালা দিতে পারেন না। এটা করলে ওই এলাকায় পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। এটা ঠিক নয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখছি।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুল ওয়াদুদ বলেন, কুষ্টিয়ার চার উপজেলায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

কাঞ্চন/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়