ঢাকা     সোমবার   ১৭ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ৩ ১৪৩১

জোর করে অবৈধ কাজে বাধ্য, চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৪, ২৪ মে ২০২৪   আপডেট: ০৮:৪৫, ২৪ মে ২০২৪
জোর করে অবৈধ কাজে বাধ্য, চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা

চাকরি দেওয়ার কথা বলে নারীদের ডেকে নিয়ে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা এবং তাদের পাচার করা হয় সাভারে এমন এক চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। এই চক্রটি প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ নারীকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করেছে। শুধু নারী নয় শিশু-কিশোরীও বাদ যায় না এই চক্রের হাত থেকে। এমনই এক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩ কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের সাভার মডেল থানা থেকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়।

এর আগে, বুধবার (২২ মে) রাতে সাভারের ভরারী নতুন পাড়া এলাকার পোড়া বাবুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-মাদারীপুরের শিবচর থানার গুয়াতলা এলাকার খলিল ব্যাপারী (৪২), তার স্ত্রী লাইলী বেগম (৩৫), টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানার নজরুল ইসলাম (৩৯), তার স্ত্রী মিথিলা (২০) ও তাদের আরেক সহযোগী বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার তানজিলা আক্তার ফাতেমা (২৫)। 

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খলিল, তার স্ত্রী লাইলী ও তাদের সহযোগী ফাতেমাকে ভরারী এলাকার পোড়া বাবুলের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ঝিনাইদহ এলাকার ১৪ বছরের এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পার্শ্ববর্তী জোরপুল বটতলা এলাকায় জনৈক জাহাঙ্গীরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মিথিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে ঝিনাইদহ ও ফরিদপুর এলাকার আরও দুই নারীকে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, চাকরির কথা বলে ও বিভিন্ন কৌশলে শিশু-কিশোরীসহ নারীদের ডেকে নিয়ে আটকে রেখে তাদের দিয়ে জোর করে পতিতাবৃত্তি করায় এই চক্রের সদস্যরা। পরে দৌলতদিয়া পতিতাপল্লী, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহের পতিতালয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে তারা স্বীকার করেছেন, আনুমানিক ১০০ থেকে ১৫০ জন নারীকে এই উপায়ে বিভিন্ন পতিতাপল্লীতে বিক্রি করেছে তারা। এতে করে তারা নারী প্রতি দেড় থেকে আড়াই লাখ টাকা পেয়েছেন বলেও জানায়।

সাভার মডেল থানার আমিনবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ বলেন, ভুক্তভোগীদের আদালতের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পতিতাপল্লী, সীমান্তবর্তী এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভুক্তভোগীদের বিক্রি করে দিত চক্রটি। চক্রের আরও কয়েকজন সদস্য পলাতক আছে, তাদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।

/সাব্বির/ইমন/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়