চুয়াডাঙ্গায় ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ, হাসপাতালে ভর্তি ৫০০ রোগী
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বারান্দায় ভর্তি রোগীকে চিকিৎসা দিচ্ছেন নার্সরা
চুয়াডাঙ্গায় আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ভাইরাসজনিত জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ছয় দিনে সদর হাসপাতালে ৫০০ রোগী ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালে শয্যা সংকট থাকায় অনেক রোগী মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ফলে চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কথা হয় আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের রুইথনপুর গ্রামের বাসিন্দা ডলি খাতুনের সঙ্গে। জ্বরে অসুস্থ হয়ে তিনি এই হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ডলি খাতুন বলেন, ‘বেড না পেয়ে নিরুপায় হয়ে হাসপাতালের মেঝেতেই চিকিৎসা নিচ্ছি। হাসপাতালে শুধুই জ্বরের রোগী। চিকিৎসকরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।’
অপর রোগী ছনিয়া খাতুন বলেন, ‘হাসপাতালটি অপরিষ্কার। ওয়াশরুমের অবস্থা আরো খারাপ। জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে অসুস্থ হয়ে এই হাসপাতালে আসা রোগীরা খুব কষ্টে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন বলেন, ‘আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে হঠাৎ করেই ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপ হওয়ায় চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ৭ জুলাই থেকে ১২ জুলাই দুপুর পর্যন্ত জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপতালের ইন্ডোর ও আউটডোরে প্রায় দেড় হাজার রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় ৫০০ রোগী জ্বরের চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
হাসপাতালে বেড সংকটের বিষয়ে এই চিকিৎসক বলেন, ‘প্রতিদিনই রোগী আসছে। যেসব বেডের রোগী ছাড়পত্র নিয়ে চলে যাচ্ছেন, সেসব বেডে রোগী উঠানো হচ্ছে।’
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হাসান বলেন, ‘ঋতু পরিবর্তনের কারণে এসময় ভাইরাসজনতি জ্বরে মানুষজন আক্রান্ত হন। এতে ভয়ের কিছু নেই। ঋতু পরিবর্তন হয়ে গেলে জ্বরের প্রকোপ কমে যাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘যারা আক্রন্ত হবেন, তাদের মনে রাখতে হবে এই জ্বর ৫ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হয়। জ্বর থেকে স্বস্তি পেতে রোগীকে নিয়মিত স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে। পাশাপাশি নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ওষুধ সেবন করতে হবে।’
মামুন/মাসুদ