ত্রিমুখী সংঘর্ষে থমথমে শেরপুর, আহত ৪০
শেরপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
শেরপুরে কোটাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ-শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারসেল ছুঁড়েছেন। বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেল থেকে কিছুক্ষণ পর পর শহরের নিউমার্কেট মোড়, থানা মোড় ও চকবাজারে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এর আগে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিকেল ৩টায় শেরপুর সরকারি কলেজে অবস্থান নেন। সেখান থেকে মিছিল শুরু করে শহরের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় আগে থেকে নিউমার্কেট মোড় এলাকায় অবস্থান করছিলেন ছাত্রলীগের সদস্যরা। কোটা বিরোধীদের দাবি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারীদের উপর বিনা উস্কানিতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আহত হন। কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সরব উপস্থিতির মুখে এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পিছু হটে। এ সময় পুলিশ উভয় পক্ষকে সহাবস্থানের চেষ্টা করেন।
পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শহরের থানামোড় এলাকায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ার সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ একজন কোটা বিরোধী শিক্ষার্থীকে আটক করলে পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়ে উঠে। পরে পুলিশ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ শতাধিক টেয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে। আন্দোলনকারীরা গ্যাস থেকে বাঁচতে সড়কে আগুন জালিয়ে দেয়। এখনো শহরে এ নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আকরামুল হোসেন পিপিএম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আন্দোলনকারীদের হামলায় আমাদের কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা খুবই গুরুতর। থানায় নিয়মিত মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
তারিকুল/ইমন