যশোরে রফিকুল হত্যা: ২৬ বছর পর মামলার রায় ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম
যশোর সদরের আড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা রফিকুলে ইসলাম হত্যা মামলার ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর চার আসামিকে তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক। মামলা দায়েরের ২৬ বছর পর বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে যশোরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বাদী পক্ষ সন্তুষ্ট হলেও উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- আড়পাড়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে ওয়াদুদ, ফয়জুর আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম ও জহিরুল ইসলাম, মকু আলীর ছেলে মাহবুব আলী, ওয়াদুদের ছেলে আজিজুর, মহাসিন আলীর ছেলে আরিফ, আবুল হোসেনের ছেলে জাকির, সাখাওয়াৎ হোসেনের ছেলে কাওছার আলী, পাচু আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ও সহিদুল ইসলাম।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ১৯৯৮ সালের ১৩ জানুয়ারি বিকেলে আসামিরা বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে রফিকুলে ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়। আসামি ইকবাল তার হাতে থাকা বন্দুক দিয়ে রফিকুলকে আঘাত করেন। পরে অন্যা আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও গলা কেটে রফিকুলকে হত্যা করেন। এসময় রফিকুলের চাচাতো ভাই নাজের, আকরাম এগিয়ে গেলে আসামিরা তাদেরকেও পিটিয়ে জখম করে। পরে আসামিরা চলে যায়। এ ঘটনায় রফিকুলের ফুফাতো ভাই ইশারত হোসেন বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে যশোর কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন। ১৯৯৮ সালের ২৫ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সব আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা জানান, দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আজ আসামি ওয়াদুদ, রবিউল, জহিরুল, মাহাবুব, আজিজুর ও আরিফকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরো ৬ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত জাকির, কাওছার, আব্দুর রাজ্জাক ও সহিদুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
তিনি আরও জানান, চার আসামি মামলা চলাকালে মারা যাওয়ায় তাদের হত্যার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন বিচারক। তিনি এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী শেখ ফয়সাল ইমাম বলেন, এ রায়ে তারা সন্তুষ্ট নন। যে কারণে ন্যায় বিচার পেতে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।
রিটন/মাসুদ