ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ট্রেন চালকের দক্ষতায় প্রাণে বাঁচলেন ইজিবাইকের ৫ যাত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০০, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১০:০২, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ট্রেন চালকের দক্ষতায় প্রাণে বাঁচলেন ইজিবাইকের ৫ যাত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতলী তিতাস পাড়া এলাকার রেল লাইনের ওপর আটকা পড়ে একটি ইজিবাইক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন চালকের দক্ষতার কারণে ইজিবাইকে থাকা পাঁচজন যাত্রী প্রাণে বেঁচে গেছেন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ২টার দিকে শহরের কাউতলী তিতাস পাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

আরো পড়ুন:

বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে। জেলা শহরের কাউতলী তিতাস পাড়া এলাকায় একটি ইজিবাইক রেললাইন অতিক্রম করার সময় আটকা পড়ে। ইজিবাইকে এসময় চালকসহ পাঁচজন যাত্রী ছিলেন। ওই এলাকা অতিক্রম করার সময় দূর থেকে ইজিবাইক রেললাইনে আটকে গেছে দেখতে পেয়ে ট্রেন থামান লোকোমাস্টার শাহ মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন খান। 

লোকোমাস্টার শাহ মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন খান 

ইজিবাইকের কাছাকাছি গিয়ে ট্রেন থামান তিনি। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে রেললাইন থেকে ইজিবাইকটেকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় নিয়ে যান। এতে ইজিবাইকের চালকসহ পাঁচজন প্রাণে বেঁচে যান।

জেলা শহরের ভাদুঘর গ্রামের মো. জামাল খান নামে এক ব্যক্তি ঘটনাটি নিজের ফেসবুক লাইভে পোস্ট করেন। ভিডিওটি ৩ মিনিট ২৪ সেকেন্ডের।  

ফেসবুক লাইভে জামাল খানকে বলতে শোনা গেছে, ‍“একটি অটো (ইজিবাইক) কাউতলীতে আটকে গেছিল। ড্রাইভারের (ট্রেন চালক) দক্ষতার কারণে মানুষগুলো বেঁচে যায়। উনি তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেন নিয়ন্ত্রণে আনছেন। দুই হাত দূরত্বে অটো ও ট্রেন ছিল।” ফেসবুক লাইভে স্থানীয় লোকজনদের জড়ো হতে দেখা গেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত মাষ্টার জসিম উদ্দিন জানান, ঘটনাটি তার জানা নেই। কারো কাছ থেকে কিছু শোনেননি।

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার (চালক) শাহ মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন খান বলেন, “এটি আল্লাহ’র রহমত। আমার কিছুই করার ছিল না। আমি ভেবেছিলাম ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গেছে। পরে দেখলাম লাগেনি।” 

তিনি আরো বলেন, “চারদিকে গাছপালা ও ঘোলা। কিছুই স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিল না। ৫০-৬০ গজ দূরত্ব থেকে একটি অটো পেছন থেকে কেউ ঠেলছে। ভেতরে যাত্রী আছে বলে মনে হয়েছে। কিছু একটার মধ্যে আটকে গেছে মনে হয়েছে। ভেতরের যাত্রীরা নামবে বা নামছে। তখনো অটো ছাড়া স্পষ্ট কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। ট্রেনের ব্রেক কষলাম, খুব কাছাকাছি গিয়ে ট্রেন থামল।” 

ঢাকা/মাইনুদ্দীন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়