ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

কক্সবাজারে কেএফসি ও পিৎজা হাটসহ ৫ রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর

কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৬, ৭ এপ্রিল ২০২৫   আপডেট: ১৭:৫৩, ৭ এপ্রিল ২০২৫
কক্সবাজারে কেএফসি ও পিৎজা হাটসহ ৫ রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর

ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে হওয়া মিছিল থেকে ছোড়া ইটের আঘাতে কক্সবাজারে পিৎজা হাটের বাইরের অংশের গ্লাস ভেঙে যায়

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান বর্বরতার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে কক্সবাজার শহরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিল থেকে পর্যটন জোনের অন্তত পাঁচটি রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর করা হয়েছে।

সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে শহরের পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গণের শহীদ দৌলত ময়দান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি হলিডে মোড় ঘুরে লাবণী হয়ে কলাতলী এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। এসময় রেস্টুরেন্টে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন:

কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ইকবাল বলেন, “ইসরায়েলি পণ্য বিক্রির অভিযোগে কেএফসি, পিৎজা হাট, কাঁচা লংকা, পানসি ও মেরিন ফুড রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালানো হয়।” কাঁচের আঘাতে কয়েকজন পর্যটক আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, “আমরাও ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি। কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছি। কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি এই (রেস্টুরেন্টে হামলা) ঘটনা ঘটিয়েছে, যা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের জন্য অশনি সংকেত। ইসরায়েলি পণ্যের সাইনবোর্ড সরিয়ে নিতে বললে তা করা যেত। ভাঙচুর এবং পর্যটক আহত করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।”

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সুগন্ধা এলাকার টপ ফ্লোরে থাকা কেএফসি এবং নিচে অবস্থিত পিৎজা হাটে ভাঙচুরের চিহ্ন স্পষ্ট। কেএফসি লক্ষ্য করে ছোড়া ইট-পাটকেল নিচের পিৎজা হাটে গিয়ে পড়ে, এতে কাঁচ ও যন্ত্রপাতির ক্ষতি হয়। ঘটনার পর পিৎজা হাট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তবে কেএফসি খোলা রয়েছে।

পিৎজা হাট কক্সবাজার শাখার ইনচার্জ পারভেজ মিয়া বলেন, “প্রধানত কেএফসির প্রতি ক্ষোভ থেকেই হামলা শুরু হয়। কেএফসি ওপরের ফ্লোরে থাকায় নিক্ষিপ্ত বস্তু নিচে পিৎজা হাটে গিয়ে পড়ে। এতে আমাদের ক্ষতি হয়েছে।”

কাঁচা লংকা রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ জানান, তাদের সাইনবোর্ডে সেভেন আপের বিজ্ঞাপন ছিল বলে ভাঙচুর চালানো হয়। তিনি বলেন, “আমরাও ফিলিস্তিনকে সমর্থন করি। কেউ বললে সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলতাম।”

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান বলেন, “মিছিলের সামনে এবং পেছনে পুলিশ থাকলেও দীর্ঘ মিছিলে মাঝখান থেকে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি পেপসির সাইনবোর্ড খুলে ফেলে এবং ইট ছোড়ে। মিছিলে থাকা অভিজ্ঞদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে।”

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়