ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

মাদরাসার অ্যাডহক কমিটি গঠনে দুর্নীতি, এলাকাবাসীর মানববন্ধন

 বরিশাল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৯, ২৬ মে ২০২৫   আপডেট: ১৯:৫১, ২৬ মে ২০২৫
মাদরাসার অ্যাডহক কমিটি গঠনে দুর্নীতি, এলাকাবাসীর মানববন্ধন

পটুয়াখালী সদর উপজেলার দক্ষিণ ছোট বিঘাই ইসহাকিয়া দাখিল মাদরাসার এডহক কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। একইসঙ্গে অবৈধ কমিটি অনুমোদন না-দেওয়ার দাবিতে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে লিখিত আবেদন করেছেন মাদরাসার প্রতিষ্ঠাদের অন্যতম এবং জমিদাতাদের ওয়ারিশ ব্যাংক কর্মকর্তা তোফায়েল আহমাদ।

বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে দেওয়া লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৪ সালে উল্লেখিত মাদরাসার ৫৮ শতাংশ জমি দান করেন আবেদনকারী তোফায়েল আহমাদের বাবা ও চাচা। জমির দলিল নাম্বার ৩৯৯২। বিগত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি এবং তার পরিবার প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নে ধারাবাহিক অবদান রেখেছেন। মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার গত ১৯ মে অ্যাডহক কমিটির প্যানেল গঠনের জন্য মিটিং আহ্বান  করেন। অজ্ঞাত কারণে সেই মিটিং না করে এবং কাউকে না জানিয়ে তিনি দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে রেজুলেশন করে ঢাকায় বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে পাঠান। সেখানে তিনজনের প্যানেলে প্রথমে যাকে রাখা হয়েছে তার বাড়ি মাদরাসা থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে। তার কাছ থেকে মাদরাসার অফিস সহকারী নিজামউদ্দিন অর্থ লেনদেন করেছেন বলে তোফায়েল আহমাদের অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। তার দাবি অপর যে দুজনের নাম অ্যাডহক কমিটির প্যানেলে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে তারা পদের জন্য আগ্রহী নন। তাদের ডামি প্রার্থী করা হয়েছে।  

ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গত ২৪ মে দক্ষিণ ছোট বিঘাই ইসহাকিয়া দাখিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। মানববন্ধনে তারা বলেন, ‘‘দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে যে কমিটি প্রেরণ করা হয়েছে তা বাতিল করে সরাসরি মিটিংয়ের মাধ্যমে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় কমিটি করতে হবে।’’

অভিযোগের বিষয়ে মাদরাসার অফিস সহকারী মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘‘এখানে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সব কিছু করেছেন মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. আবদুস সাত্তার। তিনি মিটিং ছাড়াই পকেট কমিটি করে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।’’

আবদুস সাত্তারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

এ দিকে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের রেজিস্ট্রারের দপ্তর থেকে প্রস্তাবিত কমিটির বিরুদ্ধে লিখিত আবেদন প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে।  

ঢাকা/পলাশ//

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়