ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ময়মনসিংহে ধসে পড়েছে গহুর মোল্লার ব্রিজ, যোগাযোগ বন্ধ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৯, ৩০ মে ২০২৫   আপডেট: ১৯:০৫, ৩০ মে ২০২৫
ময়মনসিংহে ধসে পড়েছে গহুর মোল্লার ব্রিজ, যোগাযোগ বন্ধ

গহুর মোল্লার ব্রিজ শুক্রবার সকালে ধসে পড়ে

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় আয়মন নদীর ওপর নির্মিত গহুর মোল্লার ব্রিজ শুক্রবার (৩০ মে) সকালে ধসে পড়েছে। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও নদীতে পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই পাশের মাটি সরে গেলে ব্রিজটি ধসে পড়ে। ফলে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে দুইপাড়ের বাসিন্দাদের। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মুক্তাগাছা উপজেলার খেরুয়াজানী ইউনিয়নের পলশা ভিটিবাড়ী গ্রামের গহুর মোল্লার ব্রিজটি ২০০১ সালে আয়মন নদীর ওপর নির্মাণ করে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। সম্প্রতি ব্রিজটি সংরক্ষণ না করেই অপরিকল্পিতভাবে আয়মন নদী খনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে গোড়ার মাটি সরে গিয়ে ব্রিজটি নড়বড়ে অবস্থায় ছিল। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে ও নদীতে পানির স্রোত বৃদ্ধি পেলে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ব্রিজটি ধসে পড়ে। 

আরো পড়ুন:

স্থানীয় বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম বলেন, ‍“এই ব্রিজটি দিয়ে পলশার স্কুল ও মাদরাসায় যাতায়াত করে শিক্ষার্থীরা। আজ সকালে ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমরা ভোগান্তির মধ্যে পড়েছি।”

তোতা মিয়া নামে অপর বাসিন্দা বলেন, “ব্রিজটি পলশা গহুর মোল্লার ব্রিজ নামে পরিচিত। অপরিকল্পিতভাবে আয়মন নদী খননের কারণে ব্রিজটি চোখের সামনে ভেঙে পড়তে দেখলাম। ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।” 

ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় পণ্য পরিবহণে আজ শুক্রবার সকাল থেকে সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে আজহারুল ইসলাম বলেন, “কয়েক গ্রামের মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে আয়মন নদীর ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ব্রিজটির কারণে এই অঞ্চলের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই স্বাবলম্বী। হঠাৎ করে ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় আমাদের মাথায় হাত পড়েছে। দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।”

মুক্তাগাছা উপজেলা প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “ব্রিজটি আমরাই নির্মাণ করেছিলাম। পানি উন্নয়ন বোর্ড অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন করার কারণে ব্রিজটি ভেঙে গেছে। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দেওয়া হবে। পরে পুনরায় ব্রিজটি করার জন্য মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করব।”

ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আখলাক উল জামিল বলেন, “আমরা নদীটি খনন করার আগে উপজেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি ব্রিজ সংরক্ষণ করার জন্য। ব্রিজের দুইপাশে ৩০ মিটারের মধ্যে আমরা কোনো খনন কাজ করিনি। এখন যদি ব্রিজ ভেঙে পড়ে, তাহলে দায় কেন আমরা নেব।”

মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম বলেন, “ব্রিজটি ভেঙে গেছে বলে শুনেছি। ব্রিজটি পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ভাবছি, কিন্তু টানা বৃষ্টিতে এখনো যেতে পারিনি। পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/মিলন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়