ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বৈষম্যবিরোধী ২ নেতাকে সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ, ছুটে এলেন সারজিস

রংপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৯, ১ জুন ২০২৫   আপডেট: ১১:৪৯, ১ জুন ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ২ নেতাকে সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ, ছুটে এলেন সারজিস

কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুমের সঙ্গে কথা বলছেন সারজিস আলম

রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বাড়িতে হামলার ঘটনায় মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি ও জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহমেদকে সেনাবাহিনী জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

শনিবার (৩১ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর পায়রা চত্বরে তাদের আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। খবর পেয়ে রাত দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যান জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। তিনি সেখানে ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুমের সঙ্গে কথা বলেন।

পরে মিডিয়ায় ঘটনার বিষয়বস্তু নিয়ে কথা বলেন সারজিস আলম। তিনি জানান, সাংগঠনিক সফর শেষেই মধ্যরাতে রংপুর হয়ে ফিরছিলেন পঞ্চগড়ের পথে। তবে এমন ঘটনা শুনে তিনি নগরীর প্রাণকেন্দ্র পায়রা চত্বরে ছুটে যান। কথা বলেছেন দায়িত্বশীল সেনা কর্মকর্তার সাথে। 

তিনি আরো জানান, সেদিন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বাড়িতে যে হামলা হয়েছিল সেটির ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রশাসন যেন নিরপেক্ষ তদন্ত করে। তবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের উপর সেদিন শান্তিপূর্ণ মিছিলে জাতীয় পার্টি প্রথমে হামলা চালিয়ে ছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

একই সাথে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে জাতীয় পার্টি দোসর হিসেবে থেকে হাসিনার লুটপাটের ক্ষমতা জায়েজ করেছিল। তাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের ন্যায় জাতীয় পার্টিরও বিচার হওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

ঘটনাস্থলে কিছু সময় থেকে পরিস্থিতি নিয়ে সেনাবাহিনীর সাথে আলাপচারিতা শেষে ফের পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে চলে যান সারজিস আলম।

এর আগে, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়েরের আবেদন করে ফিরছিলেন ওই দুই ছাত্রনেতা। হামলার ঘটনায় তাদের সংগঠনের কেউ জড়িত কি না জানতে ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্র দেখিয়ে জিজ্ঞেস করে সেনাবাহিনী।

এসময় বিএনপির মহানগর আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডন ও জেলা সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকুকেও ঘটনাস্থলে ডাকা হয়। এখবর মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গুঞ্জন সৃষ্টি হয় পুরো শহরজুড়ে।

রংপুর মহানগর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি জানান, সেনাবাহিনী তাদের অবস্থান জানতে চাইলে তারা পায়রা চত্বরেই ছিলেন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে বলেন।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু জানান, সেনাবাহিনী তাদের ফোন দিয়ে পায়রা চত্বরে ডেকে ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে জানতে চায়, সেদিনের হামলায় বিএনপির কেউ জড়িত কি না।

উল্লেখ্য, এর আগে রাত সাড়ে ১১টার দিকে এনসিপির রংপুর জেলা সংগঠক আলমগীর রহমান নয়ন, জি এম কাদের ও রংপুরের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ জাতীয় পার্টির ১৮ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা আবেদন করেন।

ঢাকা/আমিরুল/এস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়