ঢাকা     শুক্রবার   ১১ জুলাই ২০২৫ ||  আষাঢ় ২৭ ১৪৩২

জিএম কাদেরসহ ২৮০ জনের বিরুদ্ধে বরিশালে মামলা

বরিশাল সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৭, ১ জুন ২০২৫   আপডেট: ১৯:১৩, ১ জুন ২০২৫
জিএম কাদেরসহ ২৮০ জনের বিরুদ্ধে বরিশালে মামলা

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। ফাইল ফটো

গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ ২৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল মহানগর কমিটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিকুল ইসলাম সাগর শনিবার (৩১ মে) রাতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

রবিবার (১ জুন) বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আরো পড়ুন:

আরো পড়ুন: জাপা-গণঅধিকার পরিষদের হামলা-পাল্টা হামলা, আহত ১৫
 
মামলায় নাম উল্লেখ করা উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু, সাইদুল ইসলাম ট্যাপা, রুহুল আমিন, রত্মা আমিন, হাফিজ আহম্মেদ, ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম মাহমুদ, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মাসুতউদ্দীন চৌধুরি, একেএম সেলিম ওসমান, আশরাফুজ্জামান আশু, মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৩০ জন। নাম না জানা আসামি ২৫০ জন।

ওসি মিজানুর রহমান বলেন, শনিবার (৩১ মে) জাতীয় পার্টির একটি বিক্ষোভ মিছিলে গন্ডগোল হয়। এ ঘটনায় মো. শফিকুল ইসলাম সাগর বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় আনা অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম সাগর বলেন, “শনিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে ছাত্র অধিকার পরিষদ হেল্প ডেস্ক খুলেছিল। বিকেলে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা নগরীর ফকিরবাড়ী রোডের মুখে চা পান করছিলেন। এ সময় জেলা ও মহানগর কার্যালয় থেকে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে। মিছিলে প্রধান উপদেষ্টাসহ গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কটূক্তিমূলক স্লোগান দেওয়া হয়।” 

তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের বিনয়ের সঙ্গে সরকার বিরোধী স্লোগান না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা যৌথভাবে বিভিন্ন ধরনের দেশি অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের ওপর হামলা করে।” 

গণঅধিকার পরিষদের এ নেতা বলেন, “ হামলায় বরিশাল জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এইচএম শামীম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এইচএম হাসান, মহানগর গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন তালুকদার ফয়সালসহ ১৫/২০ জন নেতাকর্মী আহত হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”

ঢাকা/পলাশ/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়