নাইক্ষ্যংছড়িতে অপহরণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার ৩
বান্দরবান প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় সৈয়দ নূর (৩১) নামে যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পর হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে দুইজন রোহিঙ্গা নাগরিক বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় বান্দরবান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিমের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের আমতলী এলাকার ইটভাটার পাশ থেকে সৈয়দ নূরকে অপহরণ করা হয়। পরে ২১ জুলাই ডুলুবুনিয়া এলাকার গহীন পাহাড়ের খাদ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সৈয়দ নূর ও অভিযুক্ত মোহাম্মদ ইছমাইল (২৭) পরস্পরের পরিচিত ছিলেন। নিহত সৈয়দ নূরের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন মোহাম্মদ ইছমাইল। ধার শোধ না করায় তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। স্থানীয়ভাবে সালিশে বসে টাকা ফেরতের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ইছমাইল টাকা ফেরত না দিয়ে বরং ক্ষিপ্ত হয়ে সৈয়দ নূরকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ইছমাইল পূর্বপরিকল্পিতভাবে দুই সহযোগী রোহিঙ্গা নাগরিক রহমত উল্লাহ (৩২) এবং আলী হোসেন ওরফে মুনিয়াকে ভাড়া করে। এরপর ভিকটিমকে টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে ডেকে এনে অপহরণ করা হয়। পরে ভিকটিমের মোবাইল দিয়ে তার স্ত্রীকে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা পেয়েও তাকে মুক্তি না দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রথমে ঘুমধুম থেকে ইছমাইলকে এবং তার তথ্য অনুযায়ী রহমত উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে। পরে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আলী হোসেনকে। তাদের দেখানো মতে, ভিকটিমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ১৯ জুলাই একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকা/চাইমং/বকুল